বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পানগুছি নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবির ঘটনায় দুই শিশু ও এক নারীসহ আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও নয়জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে।
বৃহস্পতিবার সকালে তৃতীয় দিন উদ্ধার অভিযানে পানগুছি নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আটজন হলেন- কাচিঁকাটা গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ (৭৫), নাসির শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৬), বুরুজবাড়িয়া গ্রামের গফুর হাওলাদারের ছেলে আনসার আলী হাওলাদার (৫০), মৃত. গফ্ফার হাওলাদারের ছেলে সুলতান হাওলাদার (৬০), বলইবুনিয়া গ্রামের আলম চাপরাশীর স্ত্রী সালমা বেগম (৩০) ছেলে সাজ্জাদ চাপরাশী (২) শরণখোলার রায়েন্দা গ্রামের শামসুল হুদার ছেলে আল সামস্ (১৬) ও ছোলমবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে রফিক (৩৫)।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর দুটি ডুবরি দল ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও নিখোঁজদের স্বজনেরা এতে যোগ দিয়েছেন। এর আগে দু’দিনে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোলমবাড়য়া বাসস্ট্যান্ডের খেয়াঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা প্রায় ৫০-৬০জন যাত্রী নিয়ে মোড়েলগঞ্জ বাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। উপজেলার থানাঘাটের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়।
এদিকে পুলিশ এখনো নৌকাডুবির কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে স্থানীয়দের দাবি, বিপরীত দিক থেকে মংলাগামী নৌবাহিনীর জাহাজ (পি-৩১২) দ্রুতগতিতে চালিয়ে গেলে ঢেউয়ের কবলে পড়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকাটি পানিতে উল্টে যায়।
বিবার্তা/রাজু/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]