শিরোনাম
আলুর ফলনে-দামে যশোর অঞ্চলের কৃষকরা খুশি
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০১৭, ১৯:০৪
আলুর ফলনে-দামে যশোর অঞ্চলের কৃষকরা খুশি
এইচ আর তুহিন, যশোর
প্রিন্ট অ-অ+

যশোর অঞ্চলের ৬ জেলায় চলতি মৌসুমে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ২৩ টন করে ফলন পেয়েছেন চাষিরা। দামও পাচ্ছেন তুলনামূলকভাবে ভালো। শরীরের ঘাম ঝরিয়ে উৎপাদিত আলু বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে চাষিদের পরিবারে বইছে আনন্দের হাসি। বাজারে সাদা ও লাল রঙের আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।


যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর অঞ্চলের ৬ জেলায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ২৪০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমিতে। যা থেকে আলু উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন।


চলতি মৌসুমে ৬ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলুর আবাদ হয়েছে যশোরে। এ জেলায় ৩ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। মাগুরা জেলায় আবাদ হয়েছে মাত্র ৮০ হেক্টর। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলায় আবাদ হয়েছে এক হাজার ৬৭৫ হেক্টর, কুষ্টিয়া জেলায় ২ হাজার ৭১০ হেক্টর, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২ হাজার ৩৩ হেক্টর এবং মেহেরপুর জেলায় আলুর আবাদ করা হয়েছে এক হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে।


কৃষকরা জানান, এ বছর অধিকাংশ চাষি আলুর বাম্পার ফলন পেয়েছেন। হেক্টর প্রতি তারা ফলন পেয়েছেন ২৩ টন করে। তাই বাজারে প্রতিদিন আনা হচ্ছে শ’শ’ মণ আলু। যশোর সদরের বারীনগর সাতমাইল ও চুড়ামনকাটির পাইকারি সবজির বাজারে আলুর বস্তায় ঠাসা রয়েছে। ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, চিটাগাং, রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার ব্যবসায়ীরা আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।


চুড়ামনকাটির উত্তরপাড়ার চাষি আশাদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা দু’ভাই মিলে এবার ৮ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছেন। আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি আলু চাষে আনুমানিক ব্যয় হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।


তারা বলেন, প্রতি বিঘায় তারা আলু পেয়েছেন ৮০ থেকে একশ’ মণ। তাই ১ বিঘার উৎপাদিত ১২ টাকা কেজি দরে আলু ৪০ হাজার থেকে সবোর্চ্চ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারছেন। তাদের আলুর নিখুঁত উজ্জ্বল রং হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে।


আলু চাষি হাফিছুর রহমান, জামাল হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে জানান, এখন বাজারে আলুর চাহিদা রয়েছে। আবার দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপাতত হিমাগারে সংরক্ষণের চিন্তা মাথায় নেই। তারা সরাসরি আলু বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকার ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে আলু কিনে অধিকাংশই সংরক্ষণ করছেন হিমাগারে।


দৌলতদিহি গ্রামের চাষি হাফিজুর রহমান জানান, গত বছরের চেয়ে এবার তারা বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। যে কারণে চাষির পরিবারে আনন্দের হাসি। কেননা আলু বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বাড়ির ধারে বাজার হওয়ায় পরিবহন খরচও কম হচ্ছে।


এ ব্যাপারে যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডি কুমার দাস জানান, চলতি মৌসুমে যশোর অঞ্চলে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের সঠিকভাবে পরামর্শ দেয়ায় তারা সেভাবে আলুর ক্ষেত পরিচর্ষা করেছেন। আবার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলুর ন্যায্য দামও পাচ্ছেন।


বিবার্তা/তুহিন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com