শিশু মরিয়ম হত্যাকারী শনাক্ত হলেও অধরা খুনি
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৪
শিশু মরিয়ম হত্যাকারী শনাক্ত হলেও অধরা খুনি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়ম (১১) হত্যায় জড়িত সন্দেহে আবুল হোসেন ফটিক নামের এক যুবককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত মরিয়মের সঙ্গে থাকা অপর দুই শিশু বর্ণনা অনুযায়ী ফটিককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


ঘটনার দিন থেকে ফটিক পলাতক থাকা ফটিক একই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে হত্যার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো তাকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে জানিয়ে পুলিশ বলছে ফটিকের বাড়ি থেকে দুটি হাসুয়া ও তাঁর ব্যাবহৃত ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে।


পুলিশে বলছে, আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। মরিয়মের সঙ্গে যে শিশুরা মাঠে শাক তুলতে গিয়েছিল তাদের দেওয়া বর্ণনা ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ফটিকের বর্ণনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। আমরা তাঁকে আটকে অভিযান চালাচ্ছি। তাঁকে আটকের পর সে এই ঘটনায় জড়িত কি না, জানা যাবে।


জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে। আমরা বেশ কয়েকজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


ময়নাতদন্তের ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা রবিন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে আরও সময় লাগবে।


নিহত শিশুর ময়িরমের মা বলেন, আমার মেয়েকে খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে। হত্যার করার আগে খারাপ কাজ করেছে। বাধা দেওয়ায় আমার মেয়ের পা-হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি খুনের বিচার চাই।


এ দিকে শিশু ময়িরম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শুনে ছেলে ফটিকের ফাঁসির দাবি করে তিনি বলেন, এর আগে গ্রামের এক ঘটনায় ফটিক ১০ বছর জেলে ছিল। ৮-৯ মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। এমন কাজ করেছে বাবা, আপনারা পেলে তাঁকে হত্যা করে দিবেন। তাঁর ওপর আমার দায় নেই।


শিশু মরিয়মের সঙ্গে মাঠে শাক তুলতে যাওয়া দুই শিশু জানায়, ঘটনার আগের দিনও তারা একই মাঠে খড়ি কুড়াচ্ছিল। ওই দিন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তাদের কিছু বলেনি। পরদিন আবার মাঠে শাক তুলতে গেলে ওই ব্যক্তি তাদের শাক তুলে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে শাক রেখে আসার জন্য ময়িরম উঠে গেলে আর ময়িরমকে খুঁজে পায়নি তারা।


তারা আরও জানায়, বেশ কিছু সময় পর ওই ব্যক্তি ভুট্টা খেত থেকে বের হয়। ওই ব্যক্তি ভুট্টা খেতে ঢোকার সময় তার হাতের হাসুয়া চকচকে ছিল। কিন্তু বের হওয়ার পর সেটিতে কালো রঙের ছোপ-ছোপ দাগ ছিল। পরে ওই ব্যক্তি ভ্যানে করে চলে যায়।


প্রসঙ্গত,গত ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) গোয়ালপাড়ার ইকবাল মণ্ডলের মেয়ে ময়িরমের (১১) গলা কাটা মরদেহ ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২২ ডিসেম্বর ইকবাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে জীবন নগর থানায় মামলা করেন।


বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com