কুমিল্লায় প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে এমপির বৈঠকে ম্যাজিস্ট্রেটের হানা
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:০৬
কুমিল্লায় প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে এমপির বৈঠকে ম্যাজিস্ট্রেটের হানা
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে এমপির বৈঠকে আচমকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। হঠাৎ এমন ঘটনায় হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন প্রিসাইটিং কর্মকর্তারা।


২৪ ডিসেম্বর, রবিবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এ ঘটনাটি ঘটে।


সরজমিনে দেখা যায়, কলেজ শিক্ষকদের (প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত) নিয়ে হোটেলটির চার তলায় দেবিদ্বার উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি কর্তৃক বর্ষ সমাপনী মিলন মেলার ব্যানারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে শুধু এমপির আশীর্বাদপুষ্ট কলেজ শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। যারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে আবেদন করেছেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট চলে আসায় বৈঠকে কোন এমপি যাননি। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির কারণে অনুষ্ঠান আর শুরু হয়নি। পরে একজন দুজন করে সবাই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।


ওই মিলন মেলায় উপস্থিত শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, আমাদের অনেকেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকাভুক্ত আছি। এখানে শুধু এমপির কাছের শিক্ষকদেরই দাওয়াত করা হয়েছে। আমাদের এমপি মহোদয়ের আসার কথা ছিল।


ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে বাইরে ছুটে আসেন কুমিল্লা উত্তর জেলা সৈনিক লীগের আহ্বায়ক ও দেবিদ্বার আলহাজ্ব জোবায়দা খাতুন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক নূর মোহাম্মদ বাবু। তিনি প্রথমে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরক্ষণেই জানান, তিনি দেবিদ্বার উপজেলার কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি নিজের রাজনৈতিক দলের পরিচয়ও দেন।


অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সমর্থিত নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা সৈনিক লীগের আহ্বায়ক ও দেবিদ্বার আলহাজ্ব জোবায়দা খাতুন মহিলা কলেজের প্রভাষক নূর মোহাম্মদ বাবু। তিনি বলেন, ‘আমরা কলেজ শিক্ষকদের অনুষ্ঠান করছি। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই।’


রাজনৈতিক বিষয় না হলে উপজেলার সব কলেজের শিক্ষকদের কেন ডাকা হয়নি- এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ‘তাড়া আছে’ বলে তিনি চলে যান।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অতীশ সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর আয়োজকরা জানিয়েছেন যে এটি শিক্ষক সমিতির প্রোগ্রাম। আমরা শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছি। যদি নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com