নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে পুলিশের সঙ্গে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার আব্দুর রউফ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ রউফ বাহিনীর ৬ সস্ত্রাসীকে আটক করে।

৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার ভোর রাতের দিকে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের টাংকির বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের টাংকির বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আটকরা হলেন- ইউনিয়নের ২৮ বছর বয়সী স্বপন, ৪৮ বছর বয়সী নাছির, ৩৭ বছর বয়সী মাহফুজুর রহমান, ২৮ বছর বয়সী আবদুল করিম ও রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ২৯ বছর বয়সী মো. জাবেদ ও ২৬ বছর বয়সী জহির।

স্থানীয়রা জানান, সীমানা বিরোধের জেরে নেয়াখালীর হাতিয়া ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বাসিন্দাদের মাধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোরে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবদুর রব বাহিনীর প্রধান আবদুর রবের নেতৃত্বে শতাধিক দুর্বৃত্ত আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হরণী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টাংকির বাজারে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এসময় চারদিক থেকে টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে রাখে। এরপর তাদের একটি গ্রুপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে। তারা এসময় এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।

পরে চেয়ারম্যান ঘাট, মোর্শেদ বাজার ও মাইনুদ্দিন বাজার থেকে পুলিশ গিয়ে ঘেরাও হয়ে থাকা টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্প রক্ষা করে। পুলিশের ফাঁকা গুলি ও ধাওয়ার মুখে হামলাকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

হরণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, রামগতির আবদুর রব ও তার লোকজন টাংকি বাজারে হামলা করে। তারা প্রথম পুলিশ ক্যাম্পে হামলা করেন, গুলি চালান ও তারপরে বাজারে দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এরপর পুলিশ এসে পাল্টা গুলি চালায়।

টাংকি ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রব বলেন, সীমানা বিরোধের জেরে কয়েকশ মাছ ব্যবসায়ী ও জেলেকে ঘাট থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা ঘাটে যাওয়ায় পুলিশ ও মোহাম্মদ আলীর লোকজন সেখানে গুলি করেন।

হাতিয়া সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমান উল্ল্যাহ জানান, ভোর রাতের দিকে হাতিয়ার টাংকির বাজার দখল করতে আসে রামগতির আবদুর রব ও তার বাহিনী। তারা এ সময় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে রাখে। বাজারে কিছু দোকানের ক্ষয়ক্ষতি করে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিবার্তা/লিমন