কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

১৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ৬নং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি-৬ ব্লকের আহমেদ হোসেনের ছেলে শামসু আলম (২৩) এবং কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের মৃত গফুর আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭)।

উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-২ ব্লকের ২ নম্বর পাহাড়ের সামনে খেলার মাঠে আরসা ও আরএসও’র ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে আধা ঘণ্টার বেশি দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নুর মোহাম্মদ নামের এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় শামসু আলম নামের আরেক সন্ত্রাসী।

পরে খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মৃত এবং গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তারপরও কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানান ওসি।

বিবার্তা/লিমন