কুড়িগ্রামে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বজরা সবুজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক সফিকুর রহমান নুরুল আমীন বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় জেল হাজতে আছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন চাকরিপ্রার্থী ভুক্তভোগীরা।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নামে স্থানীয় বেকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছ থেকে সোট পঞ্চাশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে চাকরী না দিয়ে ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম, রঞ্জু মিয়া, আলমগীর সহ অনেকের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেন ওই শিক্ষক। উপায়ন্তর না দেখে চাকরীপ্রার্থী ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত প্রতারক মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীনকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
দীর্ঘ ১ বছর ৪ মাস জেল খাটার পর মামলা মিমাংসার কথা বলে হাইকোর্ট থেকে ২ মাসের জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু বের হয়ে আসার পর ভুক্তভোগীদের সাথে মামলা মিমাংসা না করে আবারো বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও মীমাংসা না করায় আদালত তাকে আবারো ২০২৫ সাল পর্যন্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন।
এ অবস্থায় চাকরি না পেয়ে হতাশা আর ঋণের বোঝা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের চাকরি দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীন। আমরা সবাই বেকার আর দরিদ্র পরিবারের লোকজন সহায় সম্বল বিক্রি করে, ধারদেনা করে ওই শিক্ষকের হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। এখন আমরা টাকা ফেরত চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বিজ্ঞ আদালতের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি সফিকুর রহমান নুরুল আমীনকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে আদালতের মাধ্যমে আমাদের টাকা ফিরে দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. আফরোজা বেগম বলেন, শিক্ষকদের চাকরি দেয়ার কথা বলে চেকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করায় চেকের মামলায় সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান নুরুল আমীন নানান অভিযোগ ও অনিয়মে জেল হাজতে আছেন। অর্থ কেলেঙ্কারি মামলার দায়ে যেহেতু তিনি কারাগারে আছেন বিজ্ঞ আদালতের রায় তার ক্ষেত্রে চুড়ান্ত।
বিবার্তা/বিপ্লব/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]