কঞ্চনা বিলের শুকনো মাটিতে আগুনে জ্বলে, পানিতেও ভাসে। বিলের আশপাশের অনেক পরিবার জ্বালানি হিসেবে আর মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করছে এই মাটি। এই মাটি নিয়ে আছে নানা আলোচনা। তবে, অবহেলা আর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এই মাটি।
জেলা প্রশাসক বলেছেন, এই মাটি ভিন্ন প্রকৃতির। তাই আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষা প্রয়োজন।
নীলফামারীর হরিণচড়া ইউনিয়নে অবস্থিত কঞ্চনা বিল। এই বিলের শুকনো মাটি আগুন জ্বালাতে, মশা তাড়ানোর উপকরণ বা জমির সার হিসাবেও ব্যবহার করে এলাকাবাসী। বৃষ্টি হলেই মাটি ফুলে বিল ভরাট হয়ে যায়। আর শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায় এই মাটি। এই বিলের ভেতরে থাকা চোরা বালিকে স্থানীয়রা ডাকে ‘‘ভূল”। এই চোরা বালিতে পড়লে বিপদ, বেঁচে ফেরা মুশকিল।
তবে, এই বিলের মাটি এখন উজাড় হওয়ার পথে। আগামী প্রজন্ম এই বিল চোখে দেখবে কিনা এই নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
সরকারি ভূমি রেকর্ডেও এই বিলের উজাড় হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত ৮৪ বিঘা জলাভূমি ছিল। ৯০ সালে উচু জমি স্থানীয়দের লিজ দেওয়ার পর এর আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬৯ বিঘায়। এছাড়া, লিজ নেয়া অংশে মাটি ফেলে কৃষি জমিতে রূপান্তর করে এই মাটির বৈশিষ্ট্যকে নষ্ট করা হচ্ছে।
কঞ্চনা বিলের মাটি সম্পর্কে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, এই মাটি ভিন্ন প্রকৃতির, তাই মৃত্তিকা বিজ্ঞানী দিয়ে এর আরও পরীক্ষা করানো দরকার। এরপর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]