ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সোমবার আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ।
এ নিয়ে নিখোঁজ চারজনের মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এদিকে সাগর নন্দিনী-২ থেকে ৭ লাখ লিটার পেট্রোল পদ্মা অয়েল কোম্পানীতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার জানান, শনিবার দুর্ঘটনার পর নিখোঁজদের সন্ধানে রবিবার থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরিদল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। রবিবার সন্ধ্যায় উদ্ধারকারি বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ নির্ভীক ঝালকাঠি এসে পৌছায়। সোমবার সকালে বিস্ফোরণে নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজটির পেছনের অংশ উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। এরপর সোমবার সকাল ১১ টার দিকে প্রথমে জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল এবং দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মাষ্টার রুহুল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রবিবার দুপুর ২টার দিকে জাহাজের পেছনের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে গ্রীজার আব্দুস ছালাম হৃদয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক ও উদ্ধারকারি জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার মো. সেলিম জানান, সোমবার দু’জন এবং রবিবার একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার আমাদের ডুবরিদল ডুবন্ত অংশের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের নির্দেশে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক ঝালকাঠিতে আনা হয়। এ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন আরও জানান, স্বজনদের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।
ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি এবং উদ্ধারকৃত লাশের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছেন।
শনিবার দুপুরে সাগর নন্দিনি-২ তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মাষ্টার ব্রীজ ও স্টাফ কেবিনসহ পেছনের ইঞ্জিন রুমের উপরিভাগ নদীতে ডুবে যায়। সুগন্ধা নদীতে এ ঘটনায় ৪ জন নিখোঁজ এবং ৪ জন আহত হয়।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]