নোয়াখালীতে দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ প্রদান করে মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আমিন উল্যা ও এস এম আবদুল ওহাব নামের দুই ব্যক্তিকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে বিশেষ জজ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এস এম আবদুল ওহাব সেনবাগ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আমিন উল্যাহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারি।
২৫জুন, রবিবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে এ রায় প্রদান করেন, জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, দুদকের পিপি আবুল কাশেম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬সালে সেনবাগ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এস এম আবদুল ওহাব টাকার বিনিময়ে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রায় ১৪২জনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে দুদকে অভিযোগ আসলে এটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন তৎকালিন দুদক নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক ও বর্তমানে উপ-পরিচালক মশিউর রহমান।
তদন্ত চলাকালিন সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারি আমিন উল্যার সহযোগিতায় মামলার তদন্ত থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ১৬অক্টোবর দুই লাখ বিশ হাজার টাকা নিয়ে দুদক কার্যালয়ে আসেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল ওহাব। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ঘুষের টাকা সহ তাদের দুইজনকে আটক করে দুদক।
দুদকের পিপি আবুল কাশেম জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ বিচারক ওই মামলায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে ১বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুটি ধারায় আমিন উল্যাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে আপিল করবে এমন সত্ত্বে আসামিদের পক্ষ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে তাদের জামিন দিয়েছে আদালত।
বিবার্তা/সবুজ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]