৩৫ মণের ‘ফটিক চাঁন’কে নিয়ে বিপাকে খামারি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ১২:০৫
৩৫ মণের ‘ফটিক চাঁন’কে নিয়ে বিপাকে খামারি
শিপন তালুকদার, বেরোবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গরুটির নাম রেখেছেন ফটিক চাঁন। ওজন ৩৫ মণ। আকারে দানব আকৃতির হওয়ায় সহজেই নিয়ে যেতে পারছেন না কোরবানির পশু হাটে। এদিকে বাড়িতে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসলেও আকৃতি দেখে অধিকাংশ ব্যবসায়ী দাম না করেই ফিরে যাচ্ছেন। ফলে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারি দেলোয়ার হোসেন।


দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার অন্নদান নগর ইউনিয়নের পঞ্চানন্দ গ্রামে। তিনি কৃষিকাজ করার পাশাপাশি গরু পালন করেন। গরুটির দ্রুত বৃদ্ধি দেখে সাড়ে চার বছর ধরে বাড়িতে লালন পালন করেছেন। এখন সেটির ওজন হয়েছে ৩৫ মন। তিনি গরুটির দাম হাকাচ্ছেন ১৭ লাখ টাকা। তবে দরদাম করে গরুটি নেয়া যাবে।


খামারি দেলোয়ার হোসেন বলেন, গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের। সাড়ে চার বছর ধরে বাড়িতেই লালন পালন করছি। গরুটিকে ভুসি, দানাদার খাবার, ও জাউ খাওয়ানো হয়েছে। গত বছর গরুটির দাম উঠেছিলো ৫ লাখ টাকা। দাম পছন্দ না হওয়ায় বিক্রি করিনি। এ বছর গরু ব্যবসায়ীরা গরুটি দেখে দাম না করেই ফিরে যাচ্ছেন।


তিনি আরও বলেন, অত্র এলাকার মধ্যে আমার গরুটি সবথেকে বড়। গরু নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। প্রতিদিন খাবার বাবদ প্রায় এক হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আর সাড়ে চার বছরে খরচ হয়েছে প্রায় সাত-আট লাখ টাকা। গরুটি বিক্রি না হলে সমস্যায় পড়ে যাবো।


দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী বলেন, গরুটা তাড়াতাড়ি বেচপের পারলে অনেক উপকার হইলো হয়। হামার ঘর-দুয়ারের অবস্থা ভালো না। গরুটাকো টিনের চালায় রাখছি। গরুটা বেচপের পারলে ওই টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি-ঘর করমো।


রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার অন্নদান নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন আমি দেলোয়ার হোসেনের গরুটির বিষয়ে জানি। এটি এলাকার বড় গরু। গরুটি বিক্রির জন্য সবাই সহযোগিতা করবেন।


পীরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম বলেন, ওই এলাকায় অনেকগুলো খামার আছে। কেউ গরু বিক্রি করতে পারছে না, এ তথ্য আমার জানা ছিলো না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমরা গরু বিক্রি করতে সহযোগিতা করবো।


প্রসঙ্গত, এ বছর রংপুর বিভাগে কোরবানির উপলক্ষ্যে ১৩ লাখ ৭০ হাজার গরু ও খাসি প্রস্তুত রয়েছে। যা এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়েও প্রায় তিন লাখের মতো অতিরিক্ত পশু থাকবে বলে জানিয়েছে রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।


গতবছর কোরবানি উপলক্ষ্যে এ অঞ্চলে ১৩ লাখ গরু-খাসি প্রস্তুত থাকলেও চাহিদা মিটিয়ে আড়াই লাখের বেশি অতিরিক্ত পশু ছিল।


বিবার্তা/কেআর


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com