বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। এদিকে কৃত্রিম সংকট করে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা।

বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে কয়েক দিন ছুটি থাকবে।তাই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগামী ২৬ তাখির পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চলবে। আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। তারপরেও দাম কেন যে বাড়ছে পেঁয়াজের। অহেতুক কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।

২৩ জুন, শুক্রবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের আড়ৎগুলোতে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে কাঁচমরিচ আমদানি বন্ধ থাকলেও হিলি কাঁচামালের দোকানগুলোতে সরবরাহ কমেছে দেশীয় কাঁচা মরিচের।এক দিন আগেও খুচরা বাজারে যে কাঁচা মরিচ কেজিতে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তা এখন ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগেও ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়েছে। তা এখন ৪ টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফিজু বলেন, কোরবানির ঈদের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যর দাম। বেশি লাভের আশায় পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করছেন ব্যবসায়ীরা। নিত্য পণ্যর দাম এভাবে বাড়লে আমরা কি করে খাবো।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের ও রুবেল বলেন, আজকে আমরা পেঁয়াজ পাইকারী কিনেছি ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। আর আমরা খুচরা বিক্রয় করছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ বাদ দিলে দুই এক টাকা লাভ থাকে।

কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ফরহাদ বলেন, বৃহস্পতিবার হাট বার ১২০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি আজ বাজারে এসে দেখি প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ দাম ১৬০ টাকা। তিনি আরও বলেন, ৫/১০ টাকা বাড়লে সেটি মেনে নেয়া যায়। এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে।

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ জানান, বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে কাঁচা মরিচ নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। ফলে পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আজ পাইকারী কিনেছি ১৫০ টাকা। আর খুচরা বিক্রয় করছি ১৬০ টাকা কেজি দরে।

বিবার্তা/রববানী/সউদ