পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের জাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকার ১৫০ মিটার পানিতে ডুবে গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে এই সড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
১৭ জুন, শনিবার বিকেল থেকে জাদুকাটা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তীর অতিক্রম করে পরে পানি প্রবেশ করতে থাকে লোকালয়ে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়ে। জরুরী কাজ থাকায় বাধ্য হয়েই নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৮ জুন, রবিবার সকালে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্ট বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার পয়েন্ট দিয়ে এই নদীর পানি বিপদ সীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্বপণ কুমার রায় নামের এক ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল ঢাকা থেকে আসার সময় কোনো পানি ছিলো না এই সড়কে। কিন্তু ঢাকায় ফেরার পথে এসে আর গাড়ি নিয়ে যেতে পারছি না। সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। গাড়ি নিয়ে এখন বসে আছি।’
তাহিরপুরে এসে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা নাদের আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এদিকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় জাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। এখন তাহিরপুরে যাওয়ার জন্য মাঝ রাস্তায় এসে আর যাওয়ার কোনো রাস্তা না পেয়ে নৌকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপদ সীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও দুদিন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]