ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দর ও সাগর-সুন্দরবন উপকূলে। রবিবার ভোর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্নতার পাশাপাশি বাতাস বইতে শুরু করেছে। আর সেই সাথে বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাভাবিকের তুলনায় সকালের জোয়ারে বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরে তিন ফুট ও সুন্দরবনের নদ-নদীতে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকেই হঠাৎ বিরুপ আবহাওয়ার সৃষ্টি হওয়ার উপকূলের জনমনে ঘূর্ণিঝড়ের আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বন্দরে অবস্থানরত বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দরে বিদেশী জাহাজের আসা-যাওয়া ও সকল ধরণের পণ্যবাহী নৌযান চলাচলও। দেশী-বিদেশী জাহাজগুলো বন্দর চ্যানেলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে অবস্থান নিয়েছে।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় টহলরত নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলো নিজস্ব ঘাঁটিসহ বন্দর জেটিতে আশ্রয় নিয়েছে।
বন্দর ও পৌর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী এবং পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন দুর্যোগ প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদাণে প্রস্তুত রয়েছেন।
তবে মোখা'র সরাসরি আঘাত না হলেও ঝড়-বৃষ্টি ও জ্বলোচ্ছাসে মোংলার কাইনমারী-কানারনগর থেকে জয়মনিরঘোল পর্যন্ত ২৮কিলোমিটার ভঙ্গুর ভেড়ী বাঁধের অভ্যন্তরের ২২হাজার মানুষের ঘরবাড়ীর ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে বাতাস বইতে থাকায় মোংলায় গত দেড়-দুই মাসের তাপপ্রবাহ কমতে শুরু করেছে। স্বস্তির বাতাসে গুমোট আবহাওয়া কাটতে শুরু করেছে মোংলার উপকূলে।
বিবার্তা/জাহিদ/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]