কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ পর্যন্ত ।
বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল সকালে এ ঘটনায় সন্দেহজনক ২ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে র্যাব, এমনটি জানিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, বাঁশখালীর কুদুকখালী থেকে আটক দুজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এদেরও গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
র্যাবের হাতে আটকরা হলেন, বাঁশখালীর কুতুবখালী এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে ফজল কাদের মাঝি (৩০) ও শামসুল আলমের ছেলে আবু তৈয়ব মাঝি (৩২)।
এরইমধ্যে ১০ মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা স্বীকার করে পুলিশ সুপার বলেন, নিহতদের কারও শরীরে গুলি বা অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ফলে এদের হাত-পা বেঁধে হিমঘরে আটকে হত্যার বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার।
এসপি জানান, আদালতের আদেশে মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মাতারবাড়ির এলাকার ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি নুরুল করিম ওরফে করিম সিকদার রিমান্ডে রয়েছেন। এদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এসব সূত্র ধরে চলছে তদন্ত।
পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকটি উৎসকে সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে এসপি মাহফুজুল আরও জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ জানা সম্ভব হতে পারে।
২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা ট্রলারটি নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলার থেকেই হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার ছনখোলা পাড়ার সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝি। যার মরদেহ গ্রহণ করেছেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম। এরইমধ্যে দায়ের হওয়া মামলার বাদীও তিনি। রোকেয়া বেগমও স্বীকার করেছেন ট্রলারটির মালিক তার স্বামী।
বিবার্তা/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]