তিন কারণে মাদারীপুর বাস দুর্ঘটনা
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৮:২৫
তিন কারণে মাদারীপুর বাস দুর্ঘটনা
বিবার্তা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় ১৯ যাত্রী নিহতের ঘটনার গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । এতে দুর্ঘটনার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা বন্ধে ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।


বুধবার (২২ মার্চ) সকালে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা এতথ্য জানিয়েছেন।


তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত রাখার পরও ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় তা এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা ও বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


পল্লব কুমার জানান, দুর্ঘটনার পরের দিন থেকে তদন্ত কাজ শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তা শেষ হয়। এই সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাতকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে।


গত ১৯ মার্চ রোববার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।


তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন- মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লব কুমার হাজরা। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান ফকির, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বি, মাদারীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হোসেন।


এদিকে ঘটনার পর বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।


তিনি আরো বলেন, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েটিতে গাড়ি খুব দ্রুতগতি চলাচল করে। তাই এই সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ির যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধান নিশ্চিত, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারী, প্রতিটি গাড়িতে এবং মহাসড়কে জিপিএস ট্রাকার রাখা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অনলাইনে মনিটরিং করার ব্যবস্থা রাখাসহ ১৪ টি সুপারিশ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত রোববার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন- মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লব কুমার হাজরা। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান ফকির, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বি, মাদারীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হোসেন।


এদিকে ঘটনার পর বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।


বিবার্তা/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com