যশোরের ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শন করলেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক।

বৃহস্পতিবার ভবদহ স্লুইচ গেট সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। এর আগে সকালে নওয়াপাড়ায় খাল পরির্দশন ও অভয়নগরের মশিহাটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিদ্বয়।

দুপুরে ভবদহে মতবিনিময় সভায় পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, শিগগিরই ভবদহের অভিশাপ দূর করা হবে। শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে যেন স্লুইচ গেটগুলো কার্যশীল হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। একটি স্কেভেটর রয়েছে। আরো একটি এনে শুষ্ক মৌসুমেই খনন করা হবে। যাতে বর্ষা মৌসুমের আগে পানি জমতে না পারে।

মন্ত্রী বলেন, আপাতত এ বছরের মধ্যে টিআরএম চালু সম্ভব হচ্ছে না। তবুও আমরা এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রাখবো। টিআরআর প্রকল্প মহাপরিকল্পনায় রয়েছে। স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আমডাঙ্গা খালসহ ছোট খাটো খালগুলো সংস্কারের চিন্তাভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে না পারলেও আগামী মৌসুমে খালের জমি অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, যে সব প্রকল্প নেয়া হয়, তাতে শতভাগ মানুষ লাভবান হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। দুই চারজনের ক্ষতি হয়ে থাকে। তবে আপনাদের অসুবিধা হয় সেরকম কোনো প্রকল্প আমরা গ্রহণ করবো না। টেকা, হরিহর নদীসহ ছোট খাট খালগুলো খনন করা হলে জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশাবাদী।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসন জননেত্রী শেখ হাসিনার সুশাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অল্প সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশন সম্ভব হওয়ায় এখানকার কৃষকরা নতুন আশায় বুক বেঁধেছে। ফসল উঠলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এখন তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার সরেজমিনে দেখছি। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই সমস্যা সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

বিবার্তা/তুহিন/কাফী