কবুতর পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন পোষা প্রাণী। পাঁচ হাজার বছর পূর্বের মেসোপোটেমিয়াম ফলকেও পোষা পায়রার উল্লেখ দেখা যায়। তেমনি মিশরীয় চিত্রলিপিতেও দেখা যায়। প্রধান ও ঐতিহাসিক পরাশক্তিগুলো যেমন মিশর থেকে আমেরিকা পর্যন্ত সবাই পায়রা ব্যবহার করেছেন। ৭৭৬ খ্রিস্টপূর্বে প্রথম অলিম্পিকের ফলাফল বিমুক্ত করে পায়রা। তার ২৫০০ বছর পরে ওয়াটারলুতে নেপোলিয়ানের পরাজয়ের সংবাদ নিয়ে আসে কবুতর। উভয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এক মিলিয়নের মত কবুতর সাহায্য করেছিল এবং হাজার হাজার সৈনিকের জীবন রক্ষা করেছিল। পায়রার আরো কিছু বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যের কথা জানুন:
● ঘরে ফেরার জন্য পায়রা বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনার কৌশল অবলম্বন করে। সাধারণত দুই ধরনের কৌশল অবলম্বন করে যেমন- ‘ম্যাপ সেন্স’ ও ‘কম্পাস সেন্স’। ম্যাপ সেন্সের ক্ষেত্রে তারা যেখানে বাস করে সেখানকার ভূমির চিহ্ন ও গন্ধ কাজে লাগায়। কম্পাস সেন্সের ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান ও গতিবিধির উপর নির্ভর করে।
● পায়রা সমঝোতা করতে পারে। এরা ঝাঁক বেঁধে থাকতে পছন্দ করে। পায়রার এই ঝাঁকের নেতৃত্ব দেয় একটি পায়রা এবং অন্যরা তাকে অনুসরণ করে। তাই পায়রার গৃহে প্রত্যাবর্তন সহজ হয়।
● পায়রা কখনোই ভুলে না এবং ক্ষমাও করে না। পায়রা সম্পর্কে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্যটি পাওয়া যায় ২০১১ সালের এক গবেষণা থেকে। আর তা হচ্ছে বন্য পায়রা মানুষের চেহারা চিনতে পারে। তাদের বোকা বানানো খুব কঠিন।
● পায়রার তুলনামূলক দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি আছে। বেবুন ও পায়রাকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, পায়রার স্মৃতিশক্তি বেবুনের চেয়ে অনেক বেশি।
● কবুতর অংকও করতে পারে।
● পায়রা কুসংস্কারপূর্ণ আচরণ করে।
● অধুনালুপ্ত বৃহদাকার পাখি ডোডোর জীবন্ত আত্মীয় হচ্ছে পায়রা।
● পায়রা বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে যেমন সবুজ, হলুদ বা লাল বর্ণের হয়।
● বাচ্চা পায়রাকে স্কুইকার বলে।
● দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ২টি পায়রাকে পুরস্কৃত করা হয়।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]