শিরোনাম
কেন এতো শেয়ার হচ্ছে সেই ছবি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৪১
কেন এতো শেয়ার হচ্ছে সেই ছবি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বয়স্ক দম্পতির একটি ছবি। স্বামী শ্বেতাঙ্গ স্কটিশ অধ্যাপক, আর তার স্ত্রী ঘানার একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী। এই ছবিকে কেন্দ্র করেই হঠাৎ ইন্টারনেটে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে - যার বিষয় আন্ত:-বর্ণ বিয়ে।


শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিয়ে ব্রিটেনে নতুন নয়। কিন্তু তাদের এই ছবিটিকে কেন্দ্র করে টুইটারে কথা বলছেন অনেক দম্পতি - যারা অন্য বর্ণের মানুষকে বিয়ে করেছেন।


গত ২৫শে ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডে ইথিওপিয়ার অনারারি কনসাল অধ্যাপক জন স্ট্রাদার্স টুইটারে একটি ছবি দেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি নিজে এবং তার স্ত্রী জাস্টিনা দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিটি তোলা জুলাই মাসে - এডিনবারায় ব্রিটেনের রানীর গার্ডেন পার্টিতে।


স্ত্রীর সাথে তোলা ছবি পোস্ট করে অধ্যাপক স্ট্রাদার্স
ছবিতে দেখা যাচ্ছে অধ্যাপক স্ট্রাদার্স স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী স্কার্টজাতীয় পোশাক কিল্ট পরে আছেন, আর তা স্ত্রী পরে আছেন ঘানার ঐতিহ্যবাহী পোশাক 'কেন্টে'। ছবির সাথে ছিল কিছু কথা - যার বিষয় 'বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই'।


অধ্যাপক স্ট্রাদার্স টুইট করেন: "আমি ভাবলাম ছবিটা শেয়ার করি। কারণ আমরা 'আপত্তিসূচক দৃষ্টির' শিকার হয়েছি, 'এ কি আপনার স্ত্রী?' জাতীয় প্রশ্ন শুনেছি, গত ৪০ বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরো নানা কিছু করতে দেখেছি।"


"আমরা কিন্তু টলি নি, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে সেরা উপায় হলো নিজের জীবন নিজে যাপন করা, মাথা উঁচু করে চলা এবং শিক্ষা দেয়া।"


উত্তর লন্ডন থেকে উইল নামের একজন তার পরিবারের ছবি দিয়েছেন এর সাথে প্রফেসর হ্যাশট্যাগ দেন 'ডাইভারসিটি'।


তার এই পোস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যে দম্পতিরা ভিন্ন বর্ণে বিয়ে করেছেন বা যাদের মিশ্র বর্ণের পরিবার - তাদের মধ্যে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। এটি ১৭ হাজার বার রিটুইট হয়েছে তার ৫২ হাজার লাইক পেয়েছে।


জে-র নানা-নানী
আমেরিকার কানেকটিকাটের মাইকেল ব্রাউন তার নাইজেরিয়ান স্ত্রীর সাথে বিয়ের দিনের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, 'একটি পরিপূর্ন সুথী জীবনযাপন করাটাই ঘুণার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।'


ব্রিটেনের লিভারপুলে থাকতেন জে স্মিথের নানা-নানী। জে স্মিথ তাদের ছবি দিয়ে লিখেছেন - 'তারা ভালোবাসাকে অজ্ঞতা এবং গোঁড়ামির ওপরে স্থান দিয়েছিলেন'।


জেফ প্রাইসের সাথে তার ভাবী স্ত্রীর দেখা হয় নাইজেরিয়ার আবুজায়। তিনি এখন সপরিবারে বাস করেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে।


তিনি তার পোস্টে প্রফেসর স্ট্রাদার্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে অন্যদের জন্য পথ তৈরি করে দিয়েছেন।'


উত্তর লন্ডন থেকে উইল নামের একজন তার পরিবারের ছবি দিয়ে লেখেন অধ্যাপক স্ট্রাদার্সএর পোস্টটি ছিল 'অনুপ্রেরণাদায়ক'।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com