শিরোনাম
বজ্রপাতের সময় যা করবেন না
প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৭, ১৬:০৯
বজ্রপাতের সময় যা করবেন না
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর ইদানীং পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। সর্বশেষ খবর হলো, বজ্রপাতে প্রাণহানির দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষস্থানে আছে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ।


চলতি মওসুমের গত এক মাসে বজ্রপাতে সারা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১০০ মানুষ। গত ছয় বছরে বজ্রপাতে বাংলাদেশে মারা গেছে চার হাজারেরও বেশি।


বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হচ্ছে বলে গবেষণায় প্রকাশ। বজ্রপাতের কারণে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি পরিবেশদূষণের কারণেও বজ্রপাতের হার বেড়ে গেছে।


২০০৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বজ্রপাতকে “আবহাওয়া সম্পর্কিত দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘাতক” হিসেবে চিহ্নিত করে। বাংলাদেশে নিবন্ধিত বেসরকারি সংস্থা ‘ফিউচার ব্রিজ ফাউন্ডেশন’ গত পাঁচ বছর ধরে বজ্রপাত নিয়ে গবেষণা ও সচেতনতামূলক কাজ করছে। তাদের মতে, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে যে তথ্যগুলো জানা ও মানা জরুরি, সেগুলো হলো :


০১. কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের সময় কোনোভাবেই বাইরে বের হওয়া যাবে না।


০২. আকাশের অবস্থা দেখে তবেই বাসা বা অফিস থেকে বের হতে হবে।


০৩. সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্র থেকে সেদিনের আবহাওয়ার খবর জেনে নিন।


০৪. মেঘের গর্জন শুরু হলে একটুও দেরি না করে ঘরে ঢুকে যান, এমনকি বৃষ্টিপাত না হলেও। সর্বশেষ বজ্রপাতের পরও কমপক্ষে ৩০ মিনিট ঘরে অবস্থান করুন। মনে রাখবেন, প্রথম বজ্রপাতটিই আপনার মাথার কাছে হতে পারে। তাই মেঘ কালো হতে থাকলেই ঘরে বা অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিন।


০৫. জলাশয় দূরে থাকুন। পানিতে সাঁতার, নৌ ভ্রমণ, মাছ ধরা অথবা পানির কাছে কর্মরত অবস্থায় বৈরী আবহাওয়া দেখলে দ্রুত পানির কাছ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।


০৬. বজ্রপাতের সময় দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন এবং যথাসম্ভব বড় বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিন। যদি সে রকম বড় বিল্ডিং কাছে না থাকে, তাহলে বড় যানবাহনে আশ্রয় নিন।


০৭. বজ্রপাতের সময় বারান্দা, গ্যারেজ, খেলার মাঠ এবং দরজা-জানালাবিহীন ঘরে আশ্রয় নেবেন না। যদি কাছে কোনো নিরাপদ আশ্রয় না থাকে, অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় চলে যান।ওই সময় যদি আপনি কোনো উন্মুক্ত উঁচু স্থানে থেকেও থাকেন, তাহলে সেখান থেকে নেমে আসুন।


০৮. বজ্রপাতের সময় আপনার কর্মস্থলে অথবা কাছে ভঙ্গুর অথবা মেটালিক কিছু থাকলে, তা বজ্রপাতকে দ্রুত গ্রহণ করবে। তাই দ্রুত সেসব স্থান ত্যাগ করুন।


০৯. বৈরী আবহাওয়ায় এসব ইকুইপমেন্ট ব্যবহার বর্জন করতে হবে : যেকোনো উঁচু বস্তু, গাছ, ইলেকট্রিক পোল, বিল্ডিংয়ের ছাদ, বড় ইকুইপমেন্ট যেমন, বুলডোজার, ক্রেন, ট্রাক্টর ইত্যাদি। এ ছাড়া সব ধরনের ম্যাটেরিয়ালস, বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতব ফোর, ইকুইপমেন্ট, ব্যবহারযোগ্য লাইন, পানি ও পানির লাইন ইত্যাদি ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে।


১০. যেসব অঞ্চলে বৈজ্ঞানিক অভিযান চলে বজ্রপাতের সময় সেসব অঞ্চল বর্জন করতে হবে।


১১.বজ্রপাতের সময় তারযুক্ত ফোনালাপ বর্জন করুন এবং চার্জিং কড থেকে মোবাইল ফোন খুলে নিন।


১২. বজ্র বিদ্যুতের সরাসরি প্রবেশের পথ বন্ধ করতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন।


১৩. ঝড় শুরু হলেই আউটডোর টিভি ও রেডিও এন্টেনা বন্ধ করে দিন।


১৪. এ সময় শাওয়ারে গোসল না করাই ভালো।


১৫. ওয়াশিং মেশিন, ওয়াটার হিটার, ওভেন ব্যবহার বন্ধ রাখুন।


বিবার্তা/হুমায়ুন/পলাশ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com