কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচিত ফুটবলারটির নাম আশরাফ হাকিমি। অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থা থেকে উঠে এসে তিনি এখন ফুটবলবিশ্বের পরিচিত মুখ। তার দলও আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে। হাকিমির সাবেক স্ত্রী হিবা আবুক স্পেনের অভিনেত্রী।
বেশ কয়েক বছর প্রেম করার পর ২০২০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আশরাফ হাকিমি ও স্প্যানিশ মডেল হিবা আবুক। তাদের পরিবারে দুজন সন্তানেরও জন্ম হয়।
কিন্তু হাকিমির ধর্ষণকাণ্ড সামনে এলে তাকে ডিভোর্স দেন বয়সে ১২ বছরের বড় আবুক। এরপর হাকিমির সম্পত্তির অর্ধেক দাবি করেন তিনি। কিন্তু পরে দেখা যায় পিএসজি ফুটবলারের কোনো সম্পত্তিই নেই, সবই মায়ের নামে লেখা।
তাদের দেশের আইন অনুযায়ী ডিভোর্সের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেক স্ত্রীকে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। তবুও হাকিমির সম্পত্তি দাবি করে ফুটবল সমর্থকদের রোষানলে পড়েন আবুক। তাকে নিয়ে অনেকে ট্রলও করেন। কেউ কেউ তো বলেছেনও, আবুক প্রচণ্ড লোভী।
সমস্ত ট্রল আর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন আবুক। মানুষকে নারীবিদ্বেষী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ খুবই নারীবিদ্বেষী। আমরা যখন প্রেম শুরু করি, তখন হাকিমির চেয়ে আমিই বেশি পরিচিত ছিলাম। সেটা একবার ভেবে দেখুন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ভালো বিষয় হচ্ছে মানুষ কী বলছে, তাতে আমি প্রভাবিত না। আমি আরও বিচক্ষণ হতে চাই, যাতে আগামী দিনে আমার পরিবারও প্রভাবিত না হয়। ন্যায় বিচার ও বিবেক-বুদ্ধিতে আমি বিশ্বাস করি।
এ বছরের ১৬ জানুয়ারি ইন্সটাগ্রামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় হাকিমির। উবারে করে হাকিমির বাড়িতে যান ওই নারী। এরপর সম্মতির বিরুদ্ধে নাকি সেই নারীকে হাকিমি শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানি করেন। এক বন্ধুকে ডেকে সেখান থেকে ওই নারী বের হয়ে আসেন বলে জানায় পুলিশ।
ওই নারী অভিযোগ দিলে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের দুদিনের মাথায় ধর্ষণের দায়ে মরক্কো স্টারকে অভিযুক্ত করে নান্তেসের প্রসিকিউটর বিভাগ। যৌন হয়রানির অভিযোগ তুললেও হাকিমির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেননি ভুক্তভোগী নারী। তবে তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ তদন্ত শুরু করে।
সূত্র: মার্কা
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]