
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য এক রাত উপহার দিলো সেঞ্চুরিয়ানের সুপার স্পোর্টস পার্ক। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ২৫৯ রান তাড়া করে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সেটাও আবার ৬ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখেই। এর আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল বুলগেরিয়ার। সার্বিয়ার বিপক্ষে ২৪৬ তাড়া করে জিতেছিল তারা।
শুধু রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ডই নয়। সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুই দল মিলিয়ে করেছে ৫১৭ রান। যা কিনা কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হওয়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এই ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররা ছক্কা মেরেছেন ৩৫টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। আর সবমিলিয়ে হিসেব করলে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ম্যাচে এর চেয়ে দুটি বেশি ছক্কার রেকর্ড আছে।
ম্যাচে ৩৯ বলে জনসন চার্লসের সেঞ্চুরির জবাবে ৪৩ বলে সেঞ্চুরি কুইন্টন ডি ককের। এই লড়াইয়ে জিতলেন ডি কক, হারলেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকানো জনসন চার্লস।
রানবন্যার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন নম্বরে নেমে জনসন চার্লস ৩৯ বলে করেন ক্যারিবীয়দের ইতিহাসে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ৪৬ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যাতে ১০টি চারের সঙ্গে ছিল ১১টি ছক্কার মার।
এছাড়া কাইল মায়ার্স ২৭ বলে ৫১, রভম্যান পাওয়েল ১৯ বলে ২৮ আর রোমারিও শেফার্ড ১৮ বলে খেলেন ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৫ উইকেটে ২৫৮ রান তোলে ক্যারিবীয়রা। জবাবে ১১ ওভারের মধ্যে দেড়শ রান তোলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক ৪৩ বলে করেন যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৪৪ বলে ৯ চার আর ৮ ছক্কায় কাঁটায় কাঁটায় ১০০ করে আউট হন প্রোটিয়া ওপেনার।
আরেক ওপেনার রিজা হেনড্রিকস ২৮ বলে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। এইডেন মার্করাম ২১ বলে ৩৮ আর হেনরিক ক্লাসেন ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৮.৫ ওভারেই ২৬৯ রান তাড়া করে ফেলে। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি মঙ্গলবার ওয়ান্ডারার্সে।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]