লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার সপ্তম বার্ষিকী আজ রবিবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি)। ২০১৫ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ রায়কে।
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি লেখনীর কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন অভিজিৎ। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের ফুটপাতে হামলার শিকার হন। এলোপাতাড়ি চাপাতির কোপে মারাত্মক আহত হন দুজনই। রাত ১০টার দিকে মারা যান অভিজিৎ, হাতের আঙুল হারান তাঁর স্ত্রী বন্যা।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। পরে এ হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হত্যার রায়ে জঙ্গি নেতা জিয়াউল হক জিয়াসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও উগ্রবাদী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে সে সময় এ রায় নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা ফেসবুকে জানিয়েছিলেন অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস। আর ফারাবিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
তাঁদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে রয়েছেন।
পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর পলাতক এই দুই আসামির সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার (৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিন’ (আরএফজে)। অভিজিৎ হত্যাকে মার্কিন নাগরিকের ওপর হামলা হিসেবে উল্লেখ করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]