ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) একাধিক সদস্যের ওপর তৃতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস ও পিআইজের সশস্ত্র যোদ্ধাদের হামলার জেরে আরোপ করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাক্ষরিত বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে।
পিআইজের শীর্ষ নেতা আকরাম আল-আজোরিকে স্পেশালি ডেজিগনেটেট গ্লোবাল টেরোরিস্ট বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট। আজৌরি হলেন পিআইজের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এবং এর সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের প্রধান। মার্কিন অর্থ বা ট্রেজারি বিভাগ সাত ব্যক্তি এবং দুটি সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যারা হামাস ও পিআইজির পক্ষে সমর্থন দিয়েছে বা কাজ করেছে।
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কোরপস-এর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটি হামাস ও পিআইজিকে অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার মার্কিন মিত্র যুক্তরাজ্যের সহমত রয়েছে। লন্ডনও সশস্ত্র এই দুই গোষ্ঠী অর্থ সহায়তা বন্ধের পক্ষে রয়েছে।
গত মাসের শুরুতে ইসরাইলের ওপর অতর্কিত ওই হামলার পরপরই হামাস এবং এর অন্যতম মিত্র পিআইজির ইরানি অর্থায়ন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এর আগে, ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলিন বিবৃতিতে বলেন, হামাসকে তাদের নৃশংসতা চালিয়ে যাবার জন্য তহবিল সংগ্রহ বন্ধে এই দুই দেশ একযোগে কাজ করবে।
ইয়েলিন আরও বলেন, `হামাসের কর্মকাণ্ড ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে এবং সেই দেখিয়েছে সন্ত্রাসবাদ বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে না। আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে আমরা হামাসের আর্থিক অবকাঠামো ভেঙে দিয়ে তাদের বাইরের তহবিল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাই। তাদের জঘন্য কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের জন্য নতুন তহবিল চ্যানেলগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যাচ্ছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, `হামাস ও এর সহযোগীদের অপব্যবহার থেকে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।`
তেলআবিব জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধারা গত মাসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা করে। তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে, যাদের মধ্যে মাত্র চারজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলের বিমান হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় নারী ও শিশুসহ ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]