ফ্রান্সের প্যারিসে গত মঙ্গলবার ১৭ বছরের তরুণ নাহেলের মৃত্যুর জেরে গত পাঁচদিন ধরেই বিক্ষোভ সহিংসতায় উত্তাল দেশটি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার রাতে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল ফ্রান্সের মার্সেই শহর। সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এদিকে সবশেষ বিবিসি তাদের লাইভ প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, নিহত তরুণের নানি বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গা থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তরুণের নানি নাদিয়া বিএফএম টিভিকে বলেছেন, আমরা চাই না তারা দোকান, বাস এবং স্কুল ধ্বংস করুক।
নাদিয়া আরও বলেছেন, তারা নাহেলকে এখন দাঙ্গার জন্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত চাই। এদিকে অব্যাহত বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যেই শনিবার নাহেলের দাফন সম্পন্ন হয়। নানতেরে শত শত মানুষ তার জানাজায় অংশ নিয়েছিল।
আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল মেরজুকের মৃত্যুর পর গত মঙ্গলবার থেকেই ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, গত চার দিনে অন্তত ২৩০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় ১৩১১ জনকে। ফ্রান্সের বিচার মন্ত্রী বলেছেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরই বয়স ১৮ বছরের কম।
এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারিসের নানতেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই তরুণ মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। এর পর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তারপর গাড়িটি থেমে যায়।
বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলিবর্ষণকারী অফিসারটিকে হত্যার অভিযোগে আটকও করা হয়।
ফরাসি মিডিয়ায় বলা হয়, পুলিশ প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তরুণটি তাদের দিকেই গাড়িটি চালিয়ে দিয়ে পুলিশদের আহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে ধারণা করা হয় যে প্রকৃত ঘটনা ছিল ভিন্ন।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]