শিরোনাম
‘ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনিই আপনার কাজের বস’
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৪৯
‘ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনিই আপনার কাজের বস’
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের নিয়ে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তখন আসিফ মাহমুদ। পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করার কথা ভাবছিলেন। একদিন এক বন্ধুর কাছে জানতে পারেন যে তার এক বড় ভাইয়ের ছোটখাটো একটা আইটি কম্পানিতে পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ আছে। জাসাবিডি নামের ওই প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেন আসিফ। তখনও তিনি জানতেন না যে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং জিনিসটা কী।


সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিবার্তার কার্যালয়ে আড্ডায় এভাবেই ফ্রিল্যান্সিং শুরুর অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন আসিফ মাহমুদ। দীর্ঘ আড্ডায় জানালেন তার বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা। বিবার্তা পাঠকদের জন্য এই পর্বে অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরছেন উজ্জ্বল এ গমেজ


আসিফ বলেন, জাসাবিডি তখন মূলত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ সংগ্রহ করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজগুলো সম্পন্ন করত। তাদের কাজ সংগ্রহের প্রধান উৎস ছিল ওডেস্ক বা বর্তমান আপওয়ার্ক। প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজের জন্য আবেদন করতে হয় অ্যাডমিন সাপোর্ট সংক্রান্ত মৌলিক কিছু বিষয় আমাকে শেখানো হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য কাজের বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করি।


আট মাস কাজ করার পরে আরো দুই বন্ধুসহ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটা অ্যাজেন্সি অ্যাকাউন্ট খোলেন আসিফ। ‍শুরুতে তারা অ্যাডমিন সাপোর্টের সাধারণ কাজগুলো দিয়েই আউটসোর্সিং কাজ শুরু করেন। শুরুটা অনেক খারাপ ছিল। অ্যাকাউন্ট খোলার তিন মাস পর প্রথম কাজ পান, তাও মাত্র দুই ডলারের। এই কাজটা করতে আসিফের সময় লেগেছিল ১৪ ঘণ্টা। প্রথম দিকে আয় অনেক কম ছিল, কোনো মাসে ২০০ ডলার আবার কোনো মাসে ১০০। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি। কিছুদিন কাজ করার পরে তাদের টিমের সদস্য সংখ্যা তিনজন থেকে গিয়ে দাঁড়ালো ৮ জনে। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি এসে এক বছরে এই টিমের মাসিক আয় দাঁড়ালো ৩০০০-৫০০০ ডলারে। টিমের কাজগুলো ছিল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা।


আসিফের ভাষায়, আমরা ছোট ছোট কাজগুলো দিয়ে শুরু করি। কাজগুলো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছি, যেন আমাদের প্রোফাইল ও পোর্টফোলিওটা ভারি হয়। পাশাপাশি একেকজন একেক বিষয়ে ট্রেনিং করেছি। কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইন, কেউ ওয়েব ডেভেলপিং, যাতে আমাদের একটা শক্তিশালী টিম হয়। আমরা যাতে যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এ টু জেট সাপোর্ট দিতে পারি।



এই ছোট কাজগুলো করতে করতে তারা কিছু পার্মানেন্ট ক্লায়েন্ট পান। তিনি বলেন, এমনও গেছে, কোনো ক্লায়েন্টের জন্য আমরা ওয়েব রিসার্চের কাজ করেছিলাম, পরবর্তীতে সেই ক্লায়েন্টকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও গ্রাফিক্সের কাজের অফার করেছি। উদ্দেশ্য একটাই, ধীরে ধীরে ক্লায়েন্ট যেন তার কম্পানির সকল কাজ আমাদের দেয়।


এভাবেই প্রায় ১৫০-এর বেশি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয় আসিফ মাহমুদ ও তার টিমের। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় একসময় তাদের টিম ভেঙ্গে যায় এবং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাটা প্রায় বন্ধই হয়ে যায়।


এরপর ইউএনডিপির লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের অধীনে কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশের পরিচালনায় কড়াইল বস্তির ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ৬ মাসের ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আসিফ। অনেকটা অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য, প্রশিক্ষণ চলাকালেই ২৬ জন ফ্রিল্যান্সার মাসে ৭০-৮০ ডলার করে আয় করা শুরু করে। আসিফ বলেন, এটা ভাবতে সত্যিই ভালো লাগে যে এখন পর্যন্ত এদের মধ্যে থেকে ৭-৮ জন প্রতিমাসে ৫০০-৬০০ ডলার আয় করছে। আর কয়েকজন আছে যারা আয় করছে ৮০০-১০০০ ডলার।


এসব ছাত্রছাত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের গভীরতা বিষয়ে আসিফ বলেন, প্রশিক্ষণের শুরুতে দেখা গেছে যে, এদের কেউ কখনো কম্পিউটার পিসিতে হাত দেয়নি। এমনকি এমনও স্টুডেন্ট ছিল যারা কম্পিউটার কি জিনিস তা কখনো দেখেনি। একদম শূন্য থেকে ওই স্টুডেন্টদের ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়।


এরপর কোডারসট্রাস্টে এক বছর ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মেন্টর হিসেবে জব করেন আসিফ। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি নেশা আর নিজে কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থেকে ২০১৬ সালের শেষের দিকে জব ছেড়ে দেন। আবার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। আর আগে যেহেতু গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল, তাই তিনি এবার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।



জব ছাড়ার পর আসিফ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর পাঁচ মাস রিসার্চ করেন, তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি এই ৫ মাস শুধু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ শিখেছি। কাজ পাওয়ার জন্য সফট স্কিলস এবং ইংরেজী ভাষার গুরুত্ব অপরিহার্য । আপনি কাজ পাবেন কি পাবেন না, তার অনেকটা নির্ভর করে আপনি ইন্টারভিউর সময়ে ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করছেন বা কিভাবে কথা বলছেন তার ওপর।


২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি - এই কয়েক মাস ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, লিংকডইন মার্কেটিংয়ে দক্ষ হওয়ার জন্য জ্ঞান সংগ্রহ করতে থাকেন আসিফ মাহমুদ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অনেকটা দক্ষ হয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নতুন প্রজেক্টের জন্য আবেদন করেন। ওই মাসে তিনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ৮টা কাজের জন্য ইন্টারভিউ পান। এই ৮ টা ইন্টারভিউ থেকে তিনি ৬ টা কাজের জন্য হায়ার হন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এই ৬ জন ক্লায়েন্টের মধ্যে একজন আসিফকে তার কোম্পানিতে পার্মানেন্ট জব অফার করেন এবং ২ বছরের চুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে ওই কোম্পানিতে আসিফকে দুই বছর সেবা দিতে হবে। এখানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। আসিফ আবার নতুন করে ১০ জন সদস্যের টিম তৈরী করেছেন। আসিফ বলেন, এই টিম বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছে এবং মাসিক গড় আয় ১২০০০ ডলার।


বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নতুনদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, আপনি যদি সত্যিই মন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে আগে কাজ শেখেন, তারপরে মার্কেটে আসেন। আপনি কাজ পারলে ক্লায়েন্ট আপনাকে খুঁজে নেবে।


মার্কেটপ্লেসে বিদেশী ক্লায়েন্টর সাথে কাজের অভিজ্ঞতা বিষয়ে আসিফ বলেন, বিদেশি ক্লায়েন্টরা সময়ের ব্যাপারে খুবই সচেতন। তারা যখন স্কাইপে বা হ্যাংআউটে মিটিংয়ে সময় দেন, ঠিক ওই সময়ে এসে হাজির হন। বেশি হলে ৫ মিনিট কম-বেশি হতে পারে। সময়ের বিষয়ে তারা খুবই সিরিয়াস। এমনকি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো ক্লায়েন্ট একটা কাজ ৭ দিনে করে দিতে বললেন, আপনি সেটা ৫ দিনে করে দিলেন, তখন ওই ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে আপনাকে আবার কাজ দেবে। আর ঠিক সময়ে কাজটা করে দিতে পারলেন না বা সে বিষয়ে তাকে জানালেনও না তখন তারা আপনাকে তো আর কাজ দিবেই না, হয়ত আর কোনো বাংলাদেশীকেই কখনও কাজ দিবে না। ফ্রিল্যান্সার হতে হলে, আপনাকে হতে হবে দায়িত্ববান ও সময়নিষ্ঠ।



ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানালেন এই ফ্রিল্যান্সার। তিনি বলেন, আপনি যে সেক্টরেই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সে সেক্টরের কাজ শেখেন। নিজেকে সে বিষয়ে দক্ষ করে তৈরি করেন। গ্রাফিক্স হোক, ডিজিটাল মার্কেটিং হোক বা অ্যাডমিন সাপোর্টার হোক। যেটাই করেন আগে ভাল করে কাজ শেখেন। আপনার দক্ষতা যত বেশি হবে মার্কেটপ্লেসে আপনার চাহিদাও ততবেশি হবে। আবার কাজ শেখার পরেও মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ্লাই করে অনেক সময় সহজে কাজ পাওয়া যায় না। কারণ এখানে প্রতিযোগিতাটা একটু বেশিই। কারণ, একটা কাজের জন্য আপনি শুধু নিজের দেশ না, অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের সাথেও যুদ্ধ করছেন।


আসিফ বলেন, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বর্তমানে ২৫ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ফ্রিল্যান্সিং করার মূলমন্ত্র হচ্ছে ধৈর্য্য আর অধ্যবসায়। এইখানে কেউ এক মাসে বড়লোক হয় না। আপনি কাজের জন্য বিড করছেন, কিন্তু কাজ পাচ্ছেন না - এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আমরা তিন মাস অ্যাপ্লাই করে গেছি, একটা কাজও পাইনি। ওই সময় হতাশ হলে আজকের এই দিন দেখা যেতো না। মনে রাখবেন, একটা ক্লায়েন্টই পারে আপনার জীবনটা পাল্টে দিতে। সুতরাং, ধৈর্য ধরে লেগে থাকুন, আজ না হোক কাল আপনার ভাগ্য পাল্টে যাবে।


তিনি বলেন, চাকুরিতে যেমন .৯-৫ টা অফিস থাকে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে তেমন বাঁধাধরা সময় নেই। ফ্রিল্যান্সিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনি যে কোনো সময়ে যে কো্নো স্থান থেকে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু কাজ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার কোনো বস নেই। এখানে প্রতি ঘন্টায় আপনাকে কেউ বলবে না, এই কাজটা কেন করেন নাই, ওই কাজটা কেন করেন নাই। এইখানে আপনিই আপনার বস। সুতরাং, নিজের কাজগুলো আপনাকেই করতে হবে। আর আপনি কোন সেক্টরে কাজ করবেন সেটা আপনার বিষয়। আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন কাজটা আপনি করবেন আর কোনটা করবেন না। আপনি আপনার ক্লায়েন্ট নিজেই বেছে নিতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে কন্সালটেন্ট, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি সব ধরনের কাজই করতে পারবেন।


ঝিনাইদহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে উঠা আসিফের বাবা- মা, দুই ভাই আর এক বোন নিয়ে ছোট পরিবার। বাবা সরকারী চাকুরীজীবী আর মা গৃহিনী। ছোট ভাই কলেজে ও বোন ক্লাস সেভেনে পড়ালেখা করছে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল আসিফকে ডাক্তার বানানোর। কিন্তু, ছোট থেকেই টেকনলজির দিকে আকর্ষণ আসিফের। সেই সুবাদেই কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে শেখার কোনো শেষ নেই, প্রতিদিনই আপনি নতুন কিছু না কিছু শিখবেন। আর আপনার শেখার পরিধিটা যত বড় হবে, মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও ততটা বেড়ে যাবে।


আসিফ স্বপ্ন দেখেন একটা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান দেয়ার। উদ্যোক্তা হয়ে দেশের জন্য, তরুণদের জন্য কিছু করার। ১০ জন না, ১০০০ জনকে কাজের সুযোগ করে দিতে চান আসিফ। তিনি বলেন, সবাই যদি চাকরীর পিছনে ছোটে তাহলে নতুন কর্মসংস্থান হবে কিভাবে? আমার মত ১০০ জন উদ্যোগ নিলেও ১০০০ লোকের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিংকে এখনও পেশা হিসেবে ধরা হয় না। কিন্তু, আমি বিশ্বাস করি, সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংকে দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের উৎসে পরিণত করা সম্ভব।


সব শেষে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, ফ্রিল্যান্সিং একদিনের বিষয় না। আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। আমাদের দেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা দক্ষ মেন্টর দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করবেন, সেই বিষয়েও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোনো শর্টকাট পথ নেই। আপনি যদি মনে করেন, ৩ মাসে বড়লোক হয়ে যাবেন, বা ১ সপ্তাহ কাজ শিখে আপনি অভিজ্ঞ হয়ে গেছেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য নয়। কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বলে, ১ মাসে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন, মাসে ১০০-২০০ ডলার আয় করুন। আমি নতুনদের বলব, এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারণ, এরা আপনার সময় আর টাকা নষ্ট ছাড়া আর কিছুই করবে না। নতুনদের সাহায্যের জন্য বর্তমানে ফেসবুকে অনেক ভাল ভাল গ্রুপ আছে। এদের অন্যতম দুটি গ্রুপ হচ্ছে, আপওয়ার্ক বাংলাদেশ ও ফাইবার বাংলাদেশ। আর ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হচ্ছে গুগল ও ইউটিউব। আপওয়ার্ক ও ফাইভার ছাড়াও বর্তমানে ১৫০টির মতো মার্কেটপ্লেস আছে। আপনি চাইলে যে কোনো মার্কেটপ্লেসে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাফল্য অর্জনের মূলমন্ত্র হচ্ছে, ধৈর্য্য আর অধ্যবসায়।


বিবার্তা/উজ্জল/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com