
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হবে আজ বুধবার দুপুর ২টায়। মরদেহ নেওয়া হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জানাজাস্থলে। সেখানে ভোর থেকেই জড়ো হতে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখনো রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্রোতের মতো মানুষ সংসদ ভবনের দিকে যাচ্ছে।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে কথা ছিল তার মরদেহ প্রথমে গুলশানে তার দীর্ঘদিনের বাসভবন ফিরোজায় নেওয়া হবে। কিন্তু পরে তার মরদেহবাহী গাড়িটি তারেক রহমানের গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়।
সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ বের করা হয়। সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে খালেদা জিয়ার মরদেহ গুলশান-২ এর নর্থ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ১৯৬ নম্বর বাসভবনে প্রবেশ করে।
বাসভবনে মরহুমার কফিনের পাশে কিছু সময় অবস্থান করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মায়ের কফিনের পাশে বসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন তারেক রহমান। এসময় বাসভবনে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পরে মরদেহবহনকরী গাড়িবহর রওয়ানা হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পথে।
হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা। দেশের অনেক অঞ্চলে দেখাও মেলেনি সূর্যের। রাজধানীসহ দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। প্রচণ্ড শীতও আটকাতে পারেনি ষাটোর্ধ হাজী হাসানুর রহমানকে। তিনি মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাজির হয়েছেন। উদ্দেশ্য প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেওয়া।
হাসানুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতিবিদ ছিলেন ঠিকই কিন্তু দেশের মানুষের সঙ্গে তিনি কখনও রাজনীতি করেননি। উনার মুখের ভাষা ও অন্তরের ভাষা এক ছিল। আমি জীবনে কোনো দিন ধানের শীষ ছাড়া ভোট দেয়নি।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পুরো সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে আশপাশের পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। লাখো মানুষ চোখের জলে বিদায় দিচ্ছেন প্রিয় নেত্রীকে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]