
সীমান্ত ঘেঁষা ও হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা কুড়িগ্রাম। হারকাঁপানো শীত ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু এ জেলার মানুষ। এ বছর শীত রাতভর বৃষ্টির মত ফোটায় ফোটায় ঝরে পড়ছে কুয়াশা। বিকাল থেকে শুরু করে পরদিন সকাল ৯ টা পর্যন্ত স্থানভেদে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ডেকে থাকছে চারপাশ। সেই সাথে শিরশিরে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বেলা গড়িয়ে অনেক দেরিতে সূর্যের দেখা না মিলায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গত ৩ দিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট উপজেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ ভাগ। ঘন কুয়াশা ও উতারীয় হিমেল হাওয়ার কারণে কাজে যেতে পারছে না শ্রমজীবীরা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলো খানা ইউনিয়নের শহিদ মিয়া বলেন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। কিন্তু এই শীতে কাজ করলে হাত-পা জ্বালা পোড়া করে, শরীর কামড়ায়।
ফুলবাড়ি উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মিয়া বলেন, হামরা গুলা গরিব মানুষ কম্বল কেনার টাকা নাই। এখন পর্যন্ত কোন মেম্বার, চেয়ারম্যান কাইয়ো কম্বল দিলো না মোক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের সফিকুল বলেন, অতিরিক্ত শীতের প্রভাবে মোর একটা ছোট বাচ্চা জ্বর, সর্দি, কাশিতে কয়েকদিন থেকে ভুগতেছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, শীতের প্রভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।বিশেষ করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কেউ বহির্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। আবার কোন কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, এ বছর শীতে ৯টি উপজেলায় অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে প্রথম পর্যায়ে ২২ হাজার কম্বল ও নগদ ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিবার্তা/বিপ্লব/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]