টাঙ্গাইলে
সীমানা বিরোধের জেরে মামলা করায় প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী পরিবার
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৪১
সীমানা বিরোধের জেরে মামলা করায় প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী পরিবার
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের কুইজবাড়ী গ্রামে বসতভিটার সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে বাদী পরিবার বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।


মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে কুইজবাড়ী গ্রামের বাদীর বাড়িতে তাদের শরিক অভিযুক্ত জাহিদ, শহিদ, তাদের পিতা হামেদ আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩–৪ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বাদীর মা অনামিকা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় অনামিকা বেগম প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তাড়া করে বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক টেনে-হেঁচড়ে বাড়ির উঠানে নিয়ে আসে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও তলপেটে লাথি মারতে থাকে।


একপর্যায়ে অভিযুক্ত জাহিদ অনামিকা বেগমের তলপেটে সজোরে লাথি দিলে তার পূর্বের সিজারিয়ান অপারেশনের সেলাই ছিঁড়ে গুরুতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় বিবাদীরা তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটায়।


অনামিকা বেগমের চিৎকারে তার স্বামী জাহিদুর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। অভিযুক্ত জাহিদ ও শহিদ তার ডান চোখে আঘাত করে চোখ নষ্ট করার চেষ্টা করলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চার দিন চিকিৎসা শেষে আহতদের ছেলে রাব্বি টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


অভিযোগ দায়েরের পর বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে বাদী পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে কালিহাতী উপজেলার চিনামুড়া এলাকায় আশ্রয় নেয়।


আহত জাহিদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, হামলার একপর্যায়ে অভিযুক্ত জাহিদ বসতঘরে ঢুকে ট্রাংক ভেঙে নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে এবং অভিযুক্ত শহিদ তার স্ত্রীর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।


অনামিকা বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরও বিবাদীরা আমাদের ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা বর্তমানে বাড়িছাড়া।


এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন এবং গ্রাম্যভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাদী পরিবার এলাকা ছাড়া রয়েছে এবং তাদের নিরাপদে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/ইমরুল/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com