
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে। দুপুর সাড়ে বারটায় দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় পড়তে শুরু করে। ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
রায় ঘোষণার পর অনেকেই যেমন একে স্বাগত জানিয়েছেন, তেমনই আবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ একে বলেছে "পূর্বনির্ধারিত রায়"।
এছাড়া রায়কে ঘিরে ধানমন্ডি বত্রিশের সামনে বুলডোজারসহ একদল বিক্ষোভাকারী অবস্থান নিলে ও পরে বত্রিশ নম্বরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রায়কে ঘিরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিলেন।
সকাল আটটা থেকে নয়টার মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, মহাখালি, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিবিসি সংবাদদাতারা দেখেছেন, সোমবার স্বাভাবিক দিনের তুলনায় সড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা কম। আগারগাঁও, মহাখালি এবং ফার্মগেটে ছোট আকারে যানজটও দেখা গেছে।
বেলা বারটার দিকে এক দল মানুষ দুটি বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি বত্রিশের কাছাকাছি হাজির হয়। একপর্যায়ে তারা বত্রিশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
দুপুর সাড়ে বারটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বত্রিশের সামনে অবস্থান নেন।
পরে বেলা একটার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবের বাড়ির অবশিষ্ট অংশ ভাঙার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের আবারও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বসিত বিক্ষোভকারীরা আবারও সংগঠিত হন।
এরপর শেখ মুজিবের বাড়ির দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগেও দুপুর থেকে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, বেলা ১২টার দিকে একদল মানুষ দুটি বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। তারা বলছে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এ ধরনের কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে ধানমন্ডির দিকে বুলডোজার নিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানান, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা এখানে আছেন।
বিক্ষোভকারীরা সংগঠিত হয়ে পরে মিরপুরে সড়কে অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে বত্রিশের প্রবেশমুখে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেন।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]