
লালমনিরহাটে ছোট ছোট দোকানে কিংবা আবাসিক ভবনের নিচে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন। এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবস্থা পরিচিতি পেয়েছে ‘মিনি তেল পাম্প’ নামে। এসব পাম্পে অবৈধ উপায়ে ভেজাল তেল সরবরাহে নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়ছে।
প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মী টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র সরবরাহ করে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের পাম্প তৈরিতে সহায়তা করছেন। প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকি তৈরি হবে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে আবাসিক এলাকায় দোতলা ভবনের নিচে ও টিনশেড ঘরে যত্রতত্র অর্ধশতাধিক মিনি তেল পাম্প গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে খেয়ালখুশিমতো ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে।
বিস্ফোরক পরিদফতর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।
কথা হলে জেলার হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ইন্সপেক্টর সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান সাথে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য মত কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
হাতীবান্ধার ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, ইতোমধ্যে ওই সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক বীজন রায় জানান, মিনি তেল পাম্প স্থাপনে আমাদের দফতর থেকে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবৈধ পাম্প পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/হাসানুজ্জামান/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]