শীতের রুক্ষতাকে হার মানিয়ে যৌবনপ্রাপ্ত দক্ষিণা হাওয়া প্রকৃতিতে তুলেছে গুঞ্জণ- বসন্ত এসে গেছে। মনে করিয়ে দিচ্ছে পহেলা ফাল্গুনের কথা। দক্ষিণা বাতাসের যোগসাজশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রকৃতিও মেতে উঠেছে ঋতুরাজ বসন্তের বন্দনায়। শীতকে বিদায় জানিয়ে শুরু হয়েছে বসন্ত। বসন্তবরণে দেওয়াল বিভিন্ন চিত্রাঙ্কনে ফুটিয়ে তুলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সরেজমিনে দেখা যায়, অনুষদের বাইরের দেওয়ালের পাশে ১৬ শিক্ষার্থীর অবস্থান। কারো এক হাতে রংতুলি, অন্য হাতে মোবাইলের টর্চ। কেউ রং মেশাচ্ছেন আবার কেউ দেওয়ালে অঙ্কনে ব্যস্ত। দেওয়ালে দেওয়ালে চিরায়ত বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলছেন তারা। শুধু বাইরে নয়, চারুকলা অনুষদের ভেতরেও সমানতালে কাজ করছেন। এবার বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় একটু যেন বেশি রঙিন করে তোলা হচ্ছে চারুকলা ভবনের আশপাশ।
চারুকলা অনুষদের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে নানান রঙের ফুল সূর্যের দিকে চেয়ে যেন বসন্তকেই ডাকছে। মূল মঞ্চ সাজাতে কাজ করছেন দুজন তরুণী। পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করছেন। অনুষদের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের পাশাপাশি অর্থনীতি, ফোকলোর, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজেদের আয়োজনে ঋতুরাজকে বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চারুকলা অনুষদে এবার হবে দুদিনের উৎসব। মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান জনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবে। বিকেলে অনুষদ প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেখানে থাকবে ব্যান্ড সঙ্গীত। পাশাপাশি চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেবেন বিভিন্ন আয়োজনে।
আর পলাশতলায় বানানো হচ্ছে এবারের ডামি ভাস্কর্য। বসন্ত ঘিরে পাঁচটি ডামি তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি বসন্তবাউড়ি, একটি পরিযায়ী হাঁস, একটি পলাশ ও একটি শিমুল ফুল।
প্রাচ্যকলা ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আরা ইরিন বলেন, বসন্তবরণে চারুকলাকে রাঙিয়ে তোলার ঐতিহ্য বেশ পুরোনো। এবার এ বিভাগের সাজসজ্জায় আনা হয়েছে দেশের ঐতিহ্য।
বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]