রাজধানীর ডেমরায় বাসের ধাক্কায় নিহত নারীসহ লেগুনায় থাকা তিন যাত্রীর পরিচয় মিলেছে। নিহতরা হলেন-আসিফ হোসেন সুমন (২৮), শামসুন্নাহার (৬২) ও উম্মে হাবিবা (১১)। এছাড়া, আহত তিন যাত্রীর মধ্যে একজন মারা গেছেন। নিহতের নাম আবুল হোসেন (৪৫)। তার বাসা যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তার পিতার নাম মো. পেয়ার আলী।
নিহত লেগুনার যাত্রীর নাম আবুল হোসেন (৪৫)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে (ঢামেক) ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে মারা যান তিনি।
এনিয়ে ডেমরায় বাসের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা চার জনে দাঁড়াল। অন্য আহতরা হলেন- শামীম (৩৭), মইনুদ্দিন (৩৬)
২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত পোদ্দার।
তিনি বলেন, সকালে আসিয়ান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী লেগুনাকে ধাক্কা দিলে তিনজন নিহত হয় এবং তিনজন আহত হয়। প্রথমে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। পরে সিআইডির ক্রাইম সিন এসে কিশোরী ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে। এছাড়া আহত জরুরি বিভাগের অন স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে ক্রাইম সিন। আহত ওই ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নিহত আসিফ হোসেন ডেমরার তালতলা এলাকায় থাকতেন। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। তার বাড়ি রাজশাহী। তিনি ডেমরা কোনাপাড়া শাখার আই এফ আইসি ব্যাংকের সহকারী অফিসার ছিলেন। তার স্ত্রী রিমা বিশ্বাস ও অফিস সহকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে এসে তার মরদেহ শনাক্ত করেন।
আসিফের স্ত্রী রিমা বলেন, বলেন, আজ সকালে পুলিশের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাই। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে আমার স্বামীর মরদেহ মর্গের সামনের ট্রলির উপর দেখতে পাই। আমার শ্বশুরবাড়ি রাজশাহী সদর উপজেলার সেরেইল গ্রামে। বাবার নাম মৃত আনোয়ার হোসেন।
নিহত শামসুন্নাহারের ছেলে মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার মা আমুলিয়া মেয়ে শিউলির বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। পরে আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগের মর্গে এসে আমার মায়ের লাশ শনাক্ত করি।
তিনি আরো বলেন ,আমাদের গ্রামের বাড়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পিলকুনি এলাকা। তিনি হারিজ উদ্দিনের কন্যা। বর্তমানে, মাতুয়াইলের মাদ্রাসা রোড এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন তিনি। নিহত শামসুন্নাহার দুই মেয়ে দুই ছেলের জননী ছিলেন।
অপরদিকে, নিহত শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবার মরদেহ শনাক্ত করে তার বাবা আব্দুস সোবাহান তিনি জানান, আমার মেয়ে মাতুয়াল ইসলামীয়া মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আমি পাইপ ফিটারের কাজ করি, আজ সকালে আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পরে। পরে আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের মর্গে আমার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর থানা সন্ন্যাসী চর গ্রামে। বর্তমানে ডেমরা হাজীনগর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো।
এ ঘটনায় বাস জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান পুলিশ।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া নিহত ৪ জনেরই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বিবার্তা/বুলবুল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]