
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের দুই এসআই ও ছয় কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বুধবার রংপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁদের বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টায় আট পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন– তারাগঞ্জ থানার এসআই আবু জোবায়ের ও রংপুর পুলিশ লাইনস থেকে যুক্ত থাকা এসআই সফিকুল ইসলাম; কনস্টেবল ফারিকুদ আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই দিন ঘটনার সময়ে তাঁরা তারাগঞ্জ থানায় মোবাইল টিমের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সঙ্গে এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়েরকে তদন্ত কার্যক্রম থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল জনতার গণপিটুনিতে নিহত হন রূপলাল দাস ও তার ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন। প্রদীপ জীবিকা নির্বাহ করতেন ভ্যান চালিয়ে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার ‘মবের ভয়ে’ তাদের উদ্ধার না করে ফিরে যায় পুলিশ। ঘণ্টাখানেক পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে একজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। আরেকজনের মৃত্যু হয় কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক সোমবার বলেছিলেন, ‘থানা থেকে ঘটনাস্থল বেশ দূরে। যখন মব তৈরি হয়, তখন স্কুল মাঠে তিন চার হাজার লোক। পুলিশ তাদের রক্ষার চেষ্টা করছিল। কিন্তু লোকজন সরছিল না। এত উত্তেজিত মানুষ ডিঙিয়ে ওদের ওইভাবে রক্ষা করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি।’
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]