
কাঁদাময় বাজারের রাস্তার বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গা চোরা পাঁকা সড়কটিতে কাঁদা হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই সড়কে চলাচলকারী, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। বলছি সরিষাবাড়ী উপজেলার সিমান্তবর্তী কাজিপুর উপজেলার রঘুনাথপুর বাজার সড়কের কথা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রঘুনাথপুর বাজার পর্যন্ত একটি পাকা সড়ক রয়েছে। ভাঙ্গা চোরা পাঁকা সড়কটি বিভিন্ন সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে এই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কাজিপুর উপজেলা এলজিইডি। ফলে রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় বিশেষ করে রঘুনাথপুর বাজারের ভেতরের রাস্তাটির একটু পর পর বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে সব গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেই সাথে সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদাময় হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে বাজারের আশে পাশের বিভিন্ন বাড়ী ও কাঁচা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই রাস্তাটি পাশ্ববর্তী সরিষাবাড়ী উপজেলা ও কাজিপুর ২ উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। বর্তমানে এই সড়কের বেহাল দশা ও কাঁদার কারনে বিপাকে পড়েছি আমরা ব্যবসায়ীরা। আমার দোকানটি একবারে কাঁদার সামনে হওয়ার কাঁদার কারনে কোন রোগী ঔষধ নিতে আসতে চায়না। ফলে আমার বিক্রি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমি আর্থিক ও ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু তালুকদার, শিপু মারুফ, মাজেদুর রহমান মোহন, কাকন, সিজার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই বাজারেই ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। ফলে এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার জন্য যাতায়াত করে।
তাদের যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়, কাঁদার মধ্যে পড়ে গিয়ে অনেক সময় স্কুল ড্রেসের সাথে কাঁদা লাগে, চলতে সমস্যা হয়। প্রায় সময় এই রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই।’ আবার অনেক সময় কাঁদায় গর্ত দেখা না যাওয়ায় প্রায়ই মোটরসাইকেল, অটো ভ্যান, অটো রিক্সা ও পিকআপ ছোট ট্রাক গুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাই এই বাজারের রাস্তাটি মেরামত করা অতি জরুরী।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী একেএম হেদায়েদ উল্লাহ বলেন, এই রাস্তাটি নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা কাজ করছি। এই সড়কটি মেরামত করার জন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত হয়ে অর্থ বরাদ্দ আসলে রাস্তাটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে।
বিবার্তা/মনির/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]