
ঢাকার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।
গেল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকের এই ঘটনায় রোববার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।
এর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ‘নিশ্চিত’ হওয়া যাবে, এমন কথা বলেছেন থানার এসআই সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাজিদ-উল-ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সফিউদ্দিন গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনী দেখে আইন বিভাগের তাসমিয়া তাবাসসুম নেবুলাসহ তিনি দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে লালমাটিয়া ডি-ব্লকের মাঠে যান।
সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অনুরাভ আশরাফ রাজ্য ও চারুকলার শিক্ষার্থী রাফিদুল হক রাহিমের সঙ্গে দেখা হয়। তারা বসে থাকা অবস্থায় ১০-১২ জন কিশোর এসে তাদের এক বন্ধুর ব্যাগ ছুড়ে মারার পাশাপাশি ওখান থেকে উঠে যেতে বলে।
প্রতিবাদ করলে তারা নিজেদের এলাকার ‘প্রভাব দেখিয়ে হুমকি’ দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর ও একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোররা।
সাজিদ-উল-ইসলাম বলেন, “কোনো কারণ ছাড়ায় কয়েকজন এসে আমাদের একজনের বসার জায়গায় রাখা ব্যাগটা ফেলে দেয়। তখন আমি জিজ্ঞেস করি ব্যাগটা কেন ফেলে দিলেন?
“ওরা বলতে থাকে উঠে যেতে। আমরা তখন বলি আমরা উঠে যেতেই পারি, কিন্তু আপনারাতো এভাবে বলতে পারেন না। এরপরই তারা আমাদের অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকে, এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করেছে।”
মঙ্গলবারের ঘটনায় রোববার মামলা করার বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
সাজিদের করা মামলায় ১২ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় নাম থাকা ১২ জন হল- এস কে আবির, মিমোন খান, সিয়াম, মিনহাজ, শুকুর, সাজ্জাদ, একরামুল, সুজন, বায়েজিদ, সুমন, হৃদয় ও ইয়াছিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আবিরের ‘নির্দেশে’ বাকিরা সাজিদকে মারধর করে। মিমোন খানসহ ইয়াছিন, সুমন, সুজন তাকে মারধর করে।
অনুরাভ আশরাফ রাজ্য এগিয়ে গেলে আবির তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার পিঠের ডান পাশে আঘাত করে ‘গুরুতর জখম’ করে।
অন্য কিশোররা বাকি দুই শিক্ষার্থীকে ‘এলোপাথাড়ি মারপিট’ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাদেরক ‘ভয়ভীতি’ দেখায় এবং ‘প্রাণনাশের’ হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, বলেন সাজিদ।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, “মামলা হয়েছে, তদন্তের পর কী কারণে তারা হামলা করেছিল নিশ্চিত হতে পারবো।”
তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]