রাজশাহীতে কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে ৫ দফা দাবি
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ২১:৩২
রাজশাহীতে কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে ৫ দফা দাবি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নিমাই বিল এলাকায় কৃষিজমিতে জোরপূর্বক অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শনিবার (২১ জুন) বেলা ১১টায় নগরীর গণকপাড়া এলাকায় অবস্থিত অংশু বুক ক্যাফেতে এ সম্মেলনের আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সবুজ সংহতি, রাজশাহী মহানগর।


‘কৃষি জমি রক্ষা কর, খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত কর’ -এই স্লোগানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন, বাগমারার আহ্বায়ক ও মোহনপুর কলেজের প্রভাষক মো. আমজাদ হোসেন।


সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী ও ঈশিতা ইয়াসমিন প্রমুখ।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাগমারার নিমাই বিলে গত কয়েক মাস ধরে জোর জবরদস্তি করে প্রায় ৬০ বিঘা কৃষিজমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। কৃষিজমি রক্ষায় মানববন্ধন, স্মারকলিপি, মামলা, এমনকি হাইকোর্টে রিট করেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি।


প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর. কেস নং ৩৪৭/২০২৫ নম্বরে একটি মামলা করা হয়। মামলার তদন্তভার বর্তায় বাগমারা উপজেলার এসি-ল্যান্ডের ওপর। পরে ৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়, যেখানে পুকুর খননে স্থগিতাদেশসহ জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসি-ল্যান্ডকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।


তবে তা অগ্রাহ্য করে ঈদ-উল-আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে আবারও শুরু হয়েছে পুকুর খননের কাজ। স্থানীয় ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ৭টি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে জমি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। কৃষকদের ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে, আবাদ বন্ধ হয়ে গেছে- ফলে তারা পড়েছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে।


সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়-


১. অবিলম্বে কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. এই দস্যুতায় সহায়তাকারী পুলিশ, এসি-ল্যান্ড, ইউএনও-কে অপসারণসহ শাস্তি দিতে হবে।
৪. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও দ্রুত প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৫. রাজশাহীর অন্যান্য উপজেলায় কৃষিজমিতে চলমান পুকুর খননের মহোৎসব বন্ধ করতে হবে।


সংগঠনের নেতারা বলেন, কৃষিজমি ধ্বংস করে পুকুর খনন বন্ধ না হলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতিই আজ এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।


বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com