
বেলা গড়িয়ে দুপুর ১২ টা বাজতে না বাজতেই চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড খরতাপ বইছে। একদিকে শুষ্ক বাতাস ও অন্যদিকে প্রখর রোদের কারণে রাস্তাঘাটে লোকসমাগম কম। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
রবিবার (১১ মে) দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ।
গতকাল শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৯ শতাংশ।
শুক্রবার একই সময় আবহাওয়া অফিস চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতাংশ।
এদিকে শনিবার পর্যন্ত টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। কয়েক দিন মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহের পর গতকাল শনিবার জেলায় শুরু হয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা চারদিকে, কোথাও স্বস্তি নেই।
এমন পরিস্থিতিতে কোনো সুখবর দিতে পারেননি আবহাওয়াবিদরাও। বরং তাঁরা আরও বলছেন, তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গায় এমন খরতাপ অব্যাহত থাকতে পারে। এজন্য জনসাধারণকে দুপুরের সময় অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, গরমে সবাইকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন এবং প্রচুর পানি পান করুন। হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে, তাই অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।’
বিবার্তা/আসিম/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]