টাঙ্গাইলের সখীপুরে জেলার অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি লাল মাটির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রিকে কেন্দ্র করে এক মাটি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম বাবলু মিয়া (৩৫)। সে উপজেলার কালিয়ান মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতর চাচা মালেক মিয়া।

মালেক মিয়া জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় কালিহাতী উপজেলার গান্ধীনা বাজারে কয়েকজন যুবক মাটি কেনার কথা বলে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বাবুলকে তারা রহিম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি রড সিমেন্টের দোকানে বসায়। একপর্যায়ে দোকানের সাটার বন্ধ করে দিয়ে আমার ভাতিজাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাকে নিয়ে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন। সোমবার চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাটির ব্যবসা করে আসছেন। আসামিরাও সম্প্রতি মাটির ব্যবসা শুরু করছে। পাহাড়ের মাটি কেনা নিয়ে দ্বন্দ্ব, এছাড়াও এ মাটিগুলো পাশ্ববর্তী উপজেলার গান্ধীনা এলাকায় বিক্রি করতে হয়। গান্ধীনা এলাকার প্রভাবশালীরা ও কালিয়ান গ্রামের নব্য মাটি ব্যবসায়ীরা মিলে তাকে গান্ধীনা বাজারে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আজ তিনি মারা যান।

নিহতের বাবা কামাল হোসেন বলেন, শনিবার রাতে দিকে আমার ছেলেকে এক প্রতিবেশী ডেকে নিয়ে গান্ধীনাপাড়া বাজারে রহিমের দোকানে যায়। সেখানে আগে থেকে কয়েকজন যুবক অপেক্ষা করতে থাকে। একপর্যায়ে দোকানের সাটার বন্ধ করে দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। আজ ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়। তার ঘরে ছোট-ছোট দুটি বাচ্চা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন এই ঘটনায় হারুণ সিকদারকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসামিীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

বিবার্তা/ইমরুল/এসবি