
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে পার হওয়ার অপেক্ষায় দুই শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এসব যানের অধিকাংশই যাত্রীবাহী বাস ও ছোট ছোট গাড়ি। এতে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
২১ জুন, শুক্রবার দুপুর ২টার পরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত শতাধিক যাত্রীবাহী পরিবহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ করা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ গত বৃহস্পতিবার থেকেই বাড়তে থাকে।
গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী পোশাক শ্রমিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদে বাড়ি গেছি ভোগান্তি ছাড়াই। তবে ফেরার পথে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে ভাবি নাই। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে আমাদের বাস দাঁড়িয়ে আছে। আরো কত সময় লাগবে বুঝতে পারছি না।
মেহেরপুর থেকে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনের যাত্রী আলেয়া বেগম ছোট বাচ্চা নিয়ে গাড়ির মধ্যে হাঁসফাঁস করছেন। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা ধরে গাড়ির মধ্যে বসে আছেন।
ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, গাড়ির যে ফ্যান আছে সেটাও নষ্ট। এভাবে আরও কত সময় থাকতে হবে আল্লাই জানে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটির পর মানুষ আবার কর্মস্থানে যাচ্ছে। পদ্মার পানি দ্রুত বৃদ্ধির ফলে ঘাটে ফেরি ভিড়তে সময় লাগছে। গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ায় গাড়িগুলো নদী পারের অপেক্ষা করছে। তবে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বিবার্তা/মিঠুন/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]