শিরোনাম
পাত্রীর বয়স ১১, পাত্র ১২
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৪৫
পাত্রীর বয়স ১১, পাত্র ১২
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বড় ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মিসরের কায়রোর বাসিন্দা নাসের হাসান। অনুষ্ঠান মাতাতে হাজির ছিলেন সেখানকার বিখ্যাত শিল্পীরা। নামকরা গায়ক আর বেলি ড্যান্সাররা গান আর নাচের তাল মিলিয়ে বিয়েবাড়ির আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। সেই খুশির মুহূর্তকে দ্বিগুণ করতে ওইদিনই নিজের ছোট ছেলের বিয়ের ঘোষণা দেন নাসের।

 

পাত্র ওমরের বয়স ১২ এবং তার ভাবী স্ত্রী ঘরামের ১১। ঘরাম ওমরের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সিদ্ধান্ত মতো সেদিনই সেরে ফেলা হয় বাগদান পর্বও। তবে এত কম বয়সে বিয়ের ঘটনায় অবাক নন ওমরের বাবা কিংবা আগত অতিথিদের কেউ-ই। কারণ তাদের মতে, বিয়ে তো আর হচ্ছে না। হবে বাগদান পর্ব।

 

কিন্তু ওমর আর ঘরামের বাগদানের ছবি ফেসবুক, টুইটার আর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে একেবারে সরকারি কোপে নাসের। ছবিতে দেখা যায়, পাত্রীর পরনে ধবধবে সাদা বিয়ের পোশাক। পায়ে হাই হিল আর মাথায় টায়রা। নীল স্যুটে রাজপুত্রের মতোই ঝলমল করছে পাত্র ওমর।  

 

মিশরের সংবিধান অনুযায়ী, ১৮ বছরের আগে বিয়ে বেআইনি। তবে ইউনিসেফের একটি পরিসংখ্যান বলছে, মিশরের প্রায় ১৭ শতাংশ মেয়ের বিয়েই আঠারো বছরের আগে দেয়া হয়। আর এই বাল্যবিয়ের ঘটনা বেশিরভাগই ঘটে গ্রামের দিকে। সেসব ঘটনা থেকে যায় অন্ধকারেই। তবে ওমর আর ঘরামের এই বাগ্‌দান পর্ব নিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। 

 

নারীদের আইনি সাহায্যকারী কেন্দ্রের প্রধান রেডা এলডানবুকি বিষয়টি জাতীয় শিশু ও নারী উন্নয়ন কেন্দ্রের কাছে জানান। ঘটনাটিকে গুরুতর অপরাধ আখ্যা দিয়ে তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন রেডা। তার বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা থেকে শুরু করে বড় হওয়ার অধিকার, সব দিক থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা ওই কিশোরীটিরই।

 

তবে এ নিয়ে এতটুকুও চিন্তিত নন নাসের। তার বক্তব্য, তিনি কেবলমাত্র ওমর ও ঘরামের বিয়ের সিদ্ধান্তকেই নিশ্চিত করেছেন। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছায়। ওমর প্রায়ই বলত যে বড় হয়ে ঘরামকেই বিয়ে করতে চায় সে।

 

নাসেরের আরো দাবি, ঘরাম বড় হওয়ার পর যাতে অন্য কেউ এসে তাকে বিয়ে করার দাবি জানাতে না পারে; সেজন্যই ওমরের সঙ্গে তার বাগদান পর্ব সেরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে দু’জনের ১৮ বছর বয়স হওয়ার পরই সামাজিকভাবে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নাসের।

 

বিবার্তা/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com