মানুষ কাঁদলেই চোখ থেকে পানি পড়ে। এই চোখের পানির কোনো রঙ নেই। সবার কান্নাই একরকম দেখতে। দেখতে একই রকম হলেও কান্না দু’রকমের এবং এর কাজও দুই রকমের। চলুন জেনে নিই কান্না নিয়ে কিছু অজানা তথ্য-
● পরিবেশের পার্থক্যে শিশুদের কান্নার ধরনও পাল্টে যায়!
● এক জন ডাচ গবেষক সমীক্ষা করে দেখেছেন, পাশ্চাত্য দেশগুলো, যেখানে মহিলারা সমাজের উঁচু তলায় বাস করেন এবং যাদের মানবাধিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশে বসবাসকারী মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি, তারা কাঁদেনও বেশি।
৩. কান্না তিন রকমের হয়: বেসাল টিয়ার: যেটা আপনার চোখকে পরিষ্কার রাখে এবং চোখের লুব্রিকেশনের মাত্রা ঠিক রাখে।রিফ্লেক্স টিয়ার: পেঁয়াজ কাটার সময় বা চোখে কিছু একটা হঠাৎ ঢুকলে এই কান্না বের হয়। ইমোশনাল টিয়ার: মানুষ যখন আবেগে কাঁদে।
● গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিছু মানুষ স্বাভাবিক কারণেই অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁদেন।
● অনেক সময় স্নায়বিক কারণে কান্না বা হাসি থামতে চায় না। যদি এমনটা হয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এটা স্ট্রোক, অ্যালঝাইমার্স, মাল্টিপল সেক্লরোসিস-এর লক্ষণ হতে পারে।
● বিষন্ন মহিলাদের চোখের পানিতে এমন এক রকমের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা পুরুষদের যৌন উত্তেজনায় বাধার সৃষ্টি করে। গবেষণাটি ‘সায়েন্স’ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
● কান্নার তিনটি লেয়ার বা স্তর থাকে: লিপিড লেয়ার, অ্যাকিউয়াস লেয়ার এবং মিউকাস লেয়ার।
● মুখের লালা যে কম্পোজিশনে তৈরি হয়, সেই একই কম্পোজিশনে চোখের পানিও তৈরি হয়। অর্থাৎ এই দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
● কাঁদলে স্ট্রেস হরমোন শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এবং এন্ডরফিন বা যেটাকে ‘ফিল গুড’ হরমোন বলা হয় তা শরীরে নির্গত হয়। এ জন্যই বোধ হয় বলে, কাঁদলে মন হাল্কা হয়।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]