জাপানি এক নাগরিক, নাম তরু উয়েদা (৩২)। পেশায় প্রকৌশলী। শখের বশে তিনি নেকড়ে সেজেছেন। আর তাঁর এই কস্টিউম (বিশেষ ধরনের পোশাক) বানাতে খরচ করেছেন ৩০ লাখ ইয়েন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ লাখ (প্রতি ইয়েন ৭৬ পয়সা ধরে) টাকার বেশি। জাপানে এ ধরনের অদ্ভুত সাজের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে একজন সাজেন কুকুরের বেশ।
তরু উয়েদার ব্যতিক্রম এই পোশাকের (কস্টিউম) নকশা করেছে জিপেট ওয়ার্কশপ নামের একটি কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের কস্টিউম বানানোর বেশ খ্যাতি আছে। মূলত তারা বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানে কুশীলবদের জন্য কস্টিউম সরবরাহ করে থাকে।
তরু উয়েদার জন্য নেকড়ের অবয়ব বানাতে জিপেটের চার কর্মীর সময় লেগেছে সাত সপ্তাহ। তরু মানসিক প্রশান্তি পেতে ও কষ্ট ভুলতে এটি পরে মাঝেমধ্যে বাসায় ঘুমান।
তরু বলেন, ‘আমি যখন নেকড়ের অবয়বের পোশাক পরি, তখন নিজেকে আর মানুষ মনে হয় না। আমি মানুষের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক থেকে মুক্ত হই। আমি কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরনের কষ্ট ভুলে যাই।’
তরু বলেন, ওই পোশাক পরে যখন তিনি আয়নার সামনে দাঁড়ান, তখন নিজের কাছে তাঁকে নেকড়েই মনে হয়। তবে তিনি বাস্তবের নেকড়ের মতো ভয়ংকর হয়ে ওঠেন না।
তরু যখন জিপেটকে ওই পোশাকের চাহিদাপত্র দেন, তখন শর্ত হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারার কথা বলেছিলেন। তবে তরুর সব ইচ্ছা পূরণ হলেও সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
তরু জানান, নেকড়ের সাজের পোশাক পরে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। কারণ, এটি পরে হাঁটতে গেলে অস্বস্তি লাগে।
এর আগে জিপেট আরেক জাপানির জন্য এ ধরনের পোশাক নকশা করেছিল। ওই ব্যক্তির জন্য তারা বানিয়েছে কুকুরের অবয়বের পোশাক। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কুকুরের সাজে তাঁকে জনসম্মুখে দ্রুত হাঁটতে দেখা গেছে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]