শিরোনাম
‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজন নতুন উদ্ভাবন’
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:০৫
‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজন নতুন উদ্ভাবন’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কার্যকর মেধাসত্ত্ব ব্যবস্থা ও অবকাঠামো বিনির্মাণে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।


রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরামের যৌথ আয়োজনে “হার্নেসিং আইপিআর ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ ইন বাংলাদেশ : অপর্চুনিটিজ, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।


সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর জে এ আর্স্টলিং, প্রফেসর এমিরেটাস, মিচেল হ্যামলিন স্কুল, হ্যামিল্টন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং পরিচালক, বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংস্থা (ওআইপো)।


এছাড়া সেমিনার প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মনজুরুর রহমান; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী; বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর আর চৌধুরী; পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এর রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান।


সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক (ইনোভেশন) এবং যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।


প্রফেসর জে এ আর্স্টলিং তাঁর বক্তব্যে সুদীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মেধাসত্ত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজন নতুন নতুন উদ্ভাবন। একই সঙ্গে নতুন নতুন উদ্ভাবন যুগোপযোগী আইনের মাধ্যমে মেধাসত্ত্ব নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।” বাংলাদেশের মেধাসত্ত্ব আইনকে যুগোপযোগী করার জন্য তার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সদা প্রস্তুত থাকবেন বলেও জানান তিনি।


তিনি মনে করেন, এখন বাংলাদেশের উচিত হবে মাদ্রিদ ও পিসিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে বিবেচনা করা যার মাধ্যমে বাংলাদেশী উদ্ভাবনকে বহির্বিশ্বে সুরক্ষা প্রদান করা যাবে, বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আরও আগ্রহী হবেন এবং ট্রিপস চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত সুবিধাসমূহও বঞ্চিত হবেনা।


বাংলাদেশ আইপি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান বলেন, “দেশে মেধাসত্ত্ব নিশ্চিত করার সংস্কৃতি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ আইপি ফোরাম। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত মেধাসত্ত্ব নিয়ে কাজ করছে।”


গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের সিএমও প্রতিষ্ঠায় মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল ও তথ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, বাংলাদেশ ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি ফোরাম এবং এটুআই প্রোগ্রামের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/উজ্জ্বল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com