
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (বাবিজস) এর আয়োজনে হরিধানের উদ্ভাবক কৃষক বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালীকে স্মরণ করা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সভায় হরিধানের উদ্ভাবককে স্মরণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দেশের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ড. রেজাউর রহমান।
হরিধানের সঙ্গে অন্যান্য ধানের পার্থক্য নিরুপনে নেতৃত্ব দানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ সেই গবেষণার কথা স্মারণ করে বলেন, ‘একজন বিজ্ঞানী যেভাবে একটি নতুন কিছু এই সভ্যতাকে দিয়ে যান সেভাবে হরিপদ কাপালীও আমাদের নতুন একটি ধান দিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয় তিনি কেবল নতুন ধানই খুঁজে সেটা সংরক্ষণ করেননি বরং একই সঙ্গে তা তার প্রতিবেশী অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে বিতরণও করেছেন যা অনন্য।’
সভায় জেবা ইসলাম সেরাজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএচডি গবেষক সাবরিনা মরিয়ম ইলিয়াস হরি ধানের সঙ্গে সে সময়কার অন্যান্য ধানের জিনগত ও আচরণগত পার্থক্য তুলে ধরেন।
তাদের বক্তব্যে জানা যায় মাঠে মাঠে ধান বদলে যাওয়ার ব্যাপারটা দীর্ঘকাল ধরে হয়ে আসছে। হরিপদ কাপালীর মতো কৃষক-বিজ্ঞানীদের হাত ধরে সেগুরো আলাদা জাত হিসাবে চিহ্নিত ও সংরক্ষিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, ‘হরিধান আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে আমাদের কৃষককুলের ঐতিহ্যের কথা। হাজার জাতের ধানের সৃষ্টি আমাদের এই কৃষকদের হাতে। এখন আমাদের দরকার হরিপদ কাপালীদের সঙ্গে ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের মিলন ঘটিয়ে দেওয়ার।
আগামী দিনে বাঙালি আরো এমন অনেক গুণী কৃষক-বিজ্ঞানী পাবে এবং তাদের জ্ঞানের সাথে আধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে বাংলাদেশের খাদ্যভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. রেজাউর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই তিনি মারা যান।
বিবার্তা/উজ্জ্বল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]