গ্রামীণফোন এক্সেলারেটর প্রোগ্রামের তৃতীয় ব্যাচের জন্য আবেদন পত্র গ্রহণ শুরু করেছে। বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো করে সাজানো হয়েছে জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম। দ্বিতীয় বছরের মতো প্রোগ্রামটির অপারেটর পার্টনার হিসেবে রয়েছে এসডি এশিয়া।
মিনিমাম ভায়াবল প্রোডাক্ট (এমভিপি) নিয়ে জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রামে যেকোনো টেক স্টার্টআপই www.grameenphoneaccelerator.com/apply এই লিংকটিতে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
প্রোগ্রামটিতে অংশ নিতে হলে স্টার্টআপটির এমভিপি থাকতে হবে, সেই সাথে স্টার্টআপটির অন্তত দুজন কো-ফাউন্ডার থাকতে হবে যারা জিপিহাউজে ফুল টাইম কাজ করবে।
আর্লি স্টেজে থাকা স্টার্টআপদের সাহায্য করার জন্য জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম ডিজাইন করা হয়েছে। প্রোগ্রাম থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা ‘সিমেড’ ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেসারের মতো সাইলেন্ট কিলার রোগগুলোকে দূর করার মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্র্যান্ডগুলোকে নিয়ে কি কি আলোচনা হচ্ছে সেটারই অ্যানালিটিকস প্রকাশ করছে আরেক জিপি এক্সেলারেটর গ্র্যাজুয়েট স্টার্টআপ‘সোশিয়ান’। এরই মধ্যে জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম থেকে দুটো ব্যাচের নয়টি স্টার্টআপ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। স্টার্টআপগুলো ডেমো ডে’র আগেই ছয় মাসের মধ্যে নিজেদের ভ্যালু গড়ে ৩.৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বাসায় কিংবা অফিসের সব ধরনের কাজ নিয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রোভাইডার স্টার্টআপ ‘সেবা’ ও জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে।
জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রামের ভ্যালু বোঝাতে যেয়ে সেবার সিইও আদনান ইমতিয়াজ বলেন, ‘স্টার্টআপটি নিয়ে মার্কেটে পৌঁছাতে কি কি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সেটা আগে থেকেই জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম শিখিয়েছিল বলেই আমাদের দুবছর সময় বেঁচে গেছে।’
এন্টারপ্রাইজদের জন্য প্রাইভেট সার্চ ইঞ্জিন ‘ক্র্যামস্টেক’র ফাউন্ডার মির সাকিব বলেন, ‘জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম এমন একটি প্লাটফর্ম যা আপনার স্টার্টআপকে শূন্য থেকে একেবারে অপারেশন স্টেজ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের এই প্রোগ্রাম শেখাবে কিভাবে একটি স্টার্টআপের কাজ চালাতে হয়। আমরা আজকে এই পর্যায়ে আসার জন্য জিপি এক্সেলারেটর এবং এসডি এশিয়া দলের কাছে কৃতজ্ঞ।’
চার মাসের এই এক্সেলারেটর প্রোগ্রামের সময় জিপি হাউজে স্টার্টআপগুলোর জন্য ফ্রি অফিস স্পেস ছাড়াও সিড ফান্ডিং হিসেবে প্রায় ১১ লাখ টাকা দেয়া হবে। বিজনেস স্কেল আপের পাশাপাশি ব্যবসাকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে ফিনান্সিয়াল মডেলিং করতেও সাহায্য করবে এই এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম।
প্রোগ্রামটি টেলিনর গ্রুপের একটি অংশ হওয়ায় শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরেও স্টার্টআপগুলো তাদের নিজেদের ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করতে পারবে।
প্রোগ্রামটি সম্পর্কে হেড অফ জিপি এক্সেলারেটর মিনহাজ আনোয়ার বলেন, ‘শুধু সিড মানিই এই প্রোগ্রামটির প্রধান ভ্যালু নয়। যখনই স্টার্টআপদের যে কোন ধরণের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তার সবকিছুই প্রদান করে অন্যান্য এক্সেলারেটর থেকে আলাদা করেছে জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম। তাছাড়া স্টার্টআপ গুলো নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে প্রয়োজনীয় কন্টাক্টস, বিনিয়োগকারী এবং টার্গেট কাস্টমারদের কাছে সহজে পৌঁছানোর মত সব সুযোগ সুবিধা করে দেয়া হয় এই প্রোগ্রামে।’
আগ্রহী স্টার্টআপগুলো জিপি এক্সেলারেটর প্রোগ্রাম সম্পর্কে আরও জানতে এই ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত হতে যাওয়া ইনফরমেশন সেশনগুলোতে অংশ নিতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে ফেসবুকে : https://www.facebook.com/gpaccelerator/ অথবা ওয়েবসাইটের :
http://www.grameenphoneaccelerator.com. এই ঠিকানায় যেতে হবে।
বিবার্তা/উজ্জ্বল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]