শিরোনাম
ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ ইকোসিস্টেম নিয়ে কর্মশালা
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:১২
ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ ইকোসিস্টেম নিয়ে কর্মশালা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বেসিস এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে দেশে ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম তৈরিতে করণীয় দিকগুলো নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের তৃতীয় তলায় বিসিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত থেকে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম ও ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ উন্নয়নে বিভিন্ন আলোচনা করেন।


বেসিসের পরিচালক রিয়াদ এসএ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ প্রোগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টনি ইলিয়াজ ও ব্রেট ডিকস্ট্রেইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুশান্ত কুমার সাহা, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার ও বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।


গত প্রায় এক বছর ধরে বিশ্বব্যাংক সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ডিজিটাল এন্টারপ্রেওনারশীপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশের কাজ করছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টটিতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরতেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।


প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা তৈরি, মানোন্নয়ন ও সর্বোপরি তাদের উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। কানেক্টিং স্টার্টআপ বাংলাদেশ, ১০০০ ইনোভেশন, জাতীয় পর্যায়ে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রাম, বাড়ি বসে বড়লোকসহ বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই খাতের চাহিদায় আগামীতে এ ধরণের প্রকল্পের ধারাবাহিকতা থাকবে।


কর্মশালায় আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনের পরিবেশ গড়ে তোলায় সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং বিশ্বব্যাংককে এই বিষয়ে যথাযথ পরামর্শ ও সুপারিশ পেশ করার অনুরোধ করেন।


বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা উদ্ভাবন খুঁজছি ও তাদের উন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তু ওই উদ্ভাবনের বাণিজ্যিকীকরণ করছি না। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। আবার এসব উদ্ভাবন রক্ষা করতে কোনো পদক্ষেপ নেই। ১৯১১ সালের প্যাটেন্ট আইন দিতে আমাদের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সম্পর্কিত উদ্ভাবনের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ হতে পারে না। এই আইন যুগোপযোগি করে প্রতিটি উদ্ভাবনকে রক্ষা করতে হবে। একই সাথে কপিরাইট আইন সংস্কার করে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সাথে যৌথভাবে এমনকি বেসিসের নিজ উদ্যোগেও দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরির নানা কার্যক্রম হয়েছে এবং এর ধারাবাহিকতা থাকবে।


বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান বলেন, দেশের নতুন স্টার্টআপ তৈরি ও তাদের মানোন্নয়নে বিগত কয়েক বছর ধরেই ভালো কাজ হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিস সরকারের সাথে মিলে কাজ করছে। এছাড়া উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য বেশ কিছু দেশি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও কাজ


করছে। আমরা প্রত্যাশা করি একটি যথাযথ স্টার্টআপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম তৈরি হলে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত অনেক এগিয়ে যাবে।


কর্মশালায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত, স্টার্টআপ তৈরি ও তাদের মানোন্নয়নে গৃহীত সরকারের নানা প্রকল্প যেমন স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও আইডিয়া প্রকল্প (ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেওনারশীপ একাডেমি) ইত্যাদি সম্পর্কে তুলে ধরা হয়।


বিবার্তা/উজ্জ্বল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com