একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত রয়েছে নিজ নিজ প্রচারণায়। মূল রাজনৈতিক দল ব্যতীত দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠন, সম মতাদর্শের সাংস্কৃতিক সংগঠন, চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রত্যেকেই এখন ব্যস্ত নিজ দলের প্রচারণায়। ব্যস্ত রয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলোও।
তবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সবচেয়ে সুসংগঠিতভাবে কাজ করছে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগ যখন প্রায়শই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে খবরের শিরোনাম হতো, সেই ছাত্রলীগই এখন নতুন নেতৃত্বে নিজেদের ইতিবাচক রোল মডেলে পরিণত করেছে।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ যে সব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা ছিল তরুণ প্রজন্ম তথা ছাত্রসমাজকে আকৃষ্ট করার হাতিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কতৃক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের স্বেচ্ছায় সেবা প্রদান করা হয় তা নিতান্তই ছাত্রসমাজে ইতিবাচক সাড়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের মূল রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রচারণায় আসনভিত্তিক সারা দেশে নিজেদের প্রতিনিধি দল গঠন যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত।
একটি সংগঠনের কার্যক্রম কেমন হবে, কী ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, তা নিতান্তই নির্ভর করে সংগঠনিক নেতৃত্বের গুণাবলী এবং দক্ষতার উপর। বর্তমান ছাত্রলীগের বুদ্ধিবৃত্তিক সাংগঠনিক কাঠামোই তাদের এগিয়ে রেখেছে।
অধ্যাপক গেটেলের মতে, "ইতিহাস হচ্ছে অভিজাত তন্ত্রের সমাধি ক্ষেত্র।" ইতিহাসে কেবল বিজয়ীরাই আলোচিত। প্রতিটি ভোটারের ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে- কার হাতে অর্পিত হবে দেশের শাসন ভার।
তাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারণার উদ্দেশ্য প্রতিটি ভোটারকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করা। আর ছাত্রলীগ রাজনীতির পাশাপাশি সেই কাজটি যথার্থ উপায়েই করে যাচ্ছে বলে আমার অভিমত।
লেখক: সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিবার্তা/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]