জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদের পেশ ইমাম জানাজা পড়ান। পরে তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে নেয়া হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরশাদের জানাজায় অংশ নেন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ, জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এরশাদের ভাই জি এম কাদের জানাজায় বলেন, হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই তাকে (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) মাফ করে দেবেন। তার জন্য দোয়া করবেন।
সকাল পৌনে ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর পরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক দুটি শোকবার্তায় এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
জানাজায় রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এরশাদ মাটি ও মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। দেশের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি মানুষের সঙ্গে মিশে যান। যেখানেই বেদনা, যেখানে মানুষের দুঃখ, কষ্ট সেখানে তিনি ছুটে যেতেন। ১৯৮৮ সালের বন্যায় কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে তিনি মানুষকে সাহায্য করেছেন।
তিনি বলেন, একটি মানুষও সেসময় না খেয়ে মারা যাননি। টর্নেডো হয়েছিল, তিনি সেখানেও চলে গেছেন। তিনি মানুষের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন। দরদি মানুষ ছিলেন। মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন। তার অনুপস্থিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো, তা অপূরণীয়৷
২৬ জুন সিএমএইচে ভর্তি হন এরশাদ। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]