শিরোনাম
ক্যাসিনো ব্যবসায়ীরা অনুপ্রবেশকারী: এইচ টি ইমাম
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:১৭
ক্যাসিনো ব্যবসায়ীরা অনুপ্রবেশকারী: এইচ টি ইমাম
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

চলমান ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) বিরোধী অভিযানে ধরা পড়া সবাই এক সময় যুবদল, বিএনপি, জামায়াত অথবা শিবির করত বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।


রবিবার(২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভার আগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, ইতিমধ্যে যাদের ধরা হয়েছে তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী। আপনারা জানেন যে, আমাদের দলে দীর্ঘদিন ধরে একটি দাবি উঠছিল যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের ভয়ানক ক্ষতি করছে। তাদের এখন আমরা চিহ্নিত করেছি। চিহ্নিত করে দেখা যাচ্ছে সবই এক সময় হয় যুবদল করত, না হলে বিএনপি করত। না হলে জামায়াত-শিবিরের সদস্য ছিল। কাজেই এদের খুঁজে খুঁজে যেহেতু আমরা বের করে ফেলেছি এ জন্য তাদের পক্ষ হয়ে এত দিন যারা কাজ করছিল সে লোকগুলো চিহ্নিত হয়ে গেছে। তাদের গাত্রদাহটা ওইখানে।


এতদিন যারা মদদ দিয়েছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কী না- জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, এখন তো ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে, এদের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে। রিমান্ডে দেয়ার পর তথ্য পাওয়া যাবে। সেই সমস্ত তথ্য নিয়ে বিচার করা হবে যে কার কার কোথায় সম্পৃক্ততা আছে। আমাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন এবং আমাদের সাধারণ সম্পাদক বারবার বলেছেন যে, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সে যে পর্যায়েরই হোক না কেন। অতএব এই যে আমাদের নীতি এখানে খুব পরিষ্কার। আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা দলকে পরিচ্ছন্ন করতে চাই।


উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৈঠকে বলেন, ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদত্যাগ করা উচিত।


এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শেখ তন্ময় এমপি, প্রচার উপ-কমিটির সদস্য আখতার হোসেন, কাশেম হুমায়ুন, মাহমুদা সুলতানা হেলেন ও এনামুল হক খসরু উপস্থিত ছিলেন।


তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সুশাসনের ফলে অন্যায়কারীরা ছাড় পাচ্ছে না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে মদ-জুয়ার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে ছিলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মদ ও জুয়ার ব্যবসা বৈধ করে দেন।


তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে ক্যাসিনোর ব্যবসা চালু করেন। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসসহ বিএনপি নেতাদের অনেকে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবৈধ এ ব্যবসা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


বিএনপি শাসনামলে বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন করে দুর্নীতির রাজত্ব গড়ে তুলেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আরেক ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে।


হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাত করার দায়ে কারাগারে রয়েছেন। তারেক রহমান লন্ডনে যে আয়কর জমা দেয় তার একটি অংশ ক্যাসিনোর ব্যবসা থেকে আসে বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছেন।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com